রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মোঃ আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) থেকে : কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট উপজেলার ভ্রমণপিপাসু মানুষের নিকট এক জনপ্রিয় ও আকর্ষনীয় স্থানের নাম চিলপাড়া ব্রিজ। ব্রিজের ওপর থেকে নিচে পানির সাড়ি, ব্রিজসংলগ্ন অংশে ডাকাতিয়া নদীর মাঝে দ্বীপসদৃশ বাড়ি, পানিতে বহমান নৌকা এক অপরুপ সৌন্দর্য্যরে সৃষ্টি করে। যা দেখতে সারা বছরই ভ্রমণপিপাসুরা ভিড় জমায় ব্রিজের উপর ও ব্রিজসংলগ্ন সড়কের আশেপাশে। বিশেষ করে ঈদ মৌসুমে চিলপাড়া এলাকায় মানুষের ভিড় দেখে মনে ঢাকা-চট্রগ্রামের খ্যাতনামা কোন পর্যটন স্পট। চলতি ঈদুল ফিতরের মৌসুমে পর্যটকদের ভিড় ব্রিজের এলাকা ছাড়িয়ে ব্রিজের দুই পাশের চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট উপজেলায় প্রায় এক কিলোমিটারের অধিক স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার দুই পাশে সারি সারি মোটরসাইকেল ও ব্যাক্তিগত গাড়ি সৃষ্টি করে এক অপরুপ সৌন্দর্য্যরে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কারনে নাঙ্গলকোট কিংবা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অতি সহজেই আসা যায়।
অত্র এলাকার মানুষের জনপ্রিয় দীর্ঘদিনের পর্যটন স্পটে এখনো চোখ পড়েনি সরকার কিংবা বেসরকারি কোন উদ্যোক্তার। ঈদ মৌসুমে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসলেও তাদের জন্য নেই তাদের জন্য নেই কোন বিনোদন কিংবা ভালো কোন বসার স্থান। ব্রিজের দুই পাড়ে এবং চিওড়া-ঢালুয়া সড়কের পাশে বসেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে হয় পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুদের। সড়কের পাশে বসায় প্রায়ই দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও দেখা দেয়। এছাড়াও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় দুর দুরান্ত থেকে আগত ভ্রমনপিপাসুরা স্থানীয় কিছু বখাটের ইভটিজিং ও হয়রানীর শিকার হতে হয়। স্বীকৃত কোন পর্যটন কেন্দ্র না হওয়ায় এবং দুই উপজেলাতেই এর সীমানা বিস্তৃত থাকায় পর্যাপ্ত কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। তাই মাঝেমধ্যেই ছোটখাট কিছু অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে।
ঈদ অবকাশে সরেজমিনে দেখা যায়, ভ্রমণপিপাসু ও পর্যটকদের ভিড়ে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ ১ কিলোমিটারের যানজট। আধা ঘন্টারও অধিক সময় পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ভ্রমনপিপাসুরা জানায়, ভ্রমণ, খাওয়া-দাওয়া একে অন্যের পরিপুরক। কিন্তু এখানে খাওয়া এবং নাশ্তার জন্য ভালো কোন বসার স্থান নেই। ব্রিজের চৌদ্দগ্রাম অংশে বেশ কয়েকটি টিস্টল আছে, যেখানে নেই ভালো এবং পরিবেশ সম্মত বসার স্থান। তাই বাধ্য হয়েই পর্যটকরা খাওয়ার জন্য চৌদ্দগ্রাম এবং নাঙ্গলকোটের দূরবর্তী কোন স্থানে যেতে হয়। কথা হয় ব্রিজের নাঙ্গলকোট অংশের চটপটি বিক্রেতা শাহআলমের সাথে। তিনি জানান, ঈদের দিন অন্তত ৫ হাজার মানুষ এসেছে এই স্থানে। ঈদের পরেরদিন এই সংখ্যা হবে প্রায় ১০ হাজারের অধিক। পর্যটক এবং স্থানীয়রা জানায় সরকার কিংবা বেসরকারী কোন উদ্যোক্তা চিলপাড়া ব্রিজ কেন্দ্রিক কোন পার্ক, বিনোদনকেন্দ্র কিংবা ভালোমানের রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করলে আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠবে এই স্থান। এতে করে নদীসংলগ্ন অত্র এলাকার জনসাধারনেরও ব্যাপক উন্নতি হবে। পাশাপাশি সরকারি সহযোগীতায় কোন পার্ক কিংবা বিনোদন কেন্দ্র স্থাপিত হলে বিপুল পরিমান আয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে।
চিওড়া ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম পর্যটন শিল্পে চিলপাড়া ব্রিজের অপার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বলেন, চলমান ঈদ মৌসুমে প্রতিদিনই হাজার হাজার লোকের সমারোহ ঘটছে চিলপাড়া ব্রিজের আশেপাশে। সরকারি বা বেসরকারি কোন উদ্যোগের মাধ্যমে এখানে পর্যটন কেন্দ্র কিংবা ভালো কোন স্থাপনা ও আন্তর্জাতিক মানের রেস্টুরেন্ট গড়ে তুললে পাল্টে যেতে পারে অত্র অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য। পাশাপাশি দুই উপজেলার সমন্বয়ে নিয়মিত পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হলে মানুষ আরও আকৃষ্ট হবে এই স্থানের প্রতি। এক্ষেত্রে তিনি পর্যটন কর্পোরেশন এবং প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।