Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মালয়েশীয় নারীর বাংলাদেশি স্বামীকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ

| প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : মালয়েশীয় নারীর বাংলাদেশি স্বামী ফরিদপুরের লাভলুকে খুঁজে পাচ্ছেনা পুলিশ। পতেঙ্গা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে খুঁজে বের করতে দেশের সব স্থল ও বিমানবন্দরে এবং ফরিদপুরের ঠিকানায় জরুরী বার্তা পাঠানো হয়েছে।
তবে গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। মালয়েশিয়ান নারী নূর সোহাফাকে (৪৬) রাখা হয়েছে নিরাপত্তা হেফাজতে হাটহাজারীর সেফ হোমে। ইংরেজি ও বাংলা কোনটাই বলতে না পারায় আরও বেশি সংকটে পড়েছেন ওই বিদেশীনি। মালয়েশিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ফরিদপুর থেকে চট্টগ্রাম এসে শুক্রবার রাতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোহাফাকে ফেলে উধাও হয়ে যান স্বামী লাভলু। যাওয়ার সময় তার কাছে থাকা পাসপোর্ট, ভিসা, বোডিং পাসসহ সব কাগজপত্র নিয়ে গেছেন তার স্বামী। ফলে স্বামীর কোন ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।
পতেঙ্গা থানার ওসি আবুল কাশেম ভুঁইয়া গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, ওই বিদেশীনির কাছে কোন কাগজপত্র নেই। স্বামীর নাম লাভলু এবং বাড়ি ফরিদপুর এর বেশি কিছুই বলতে পারছে না সে। মালয়েশিয়ায় কোন এলাকায় তার বাড়ি সে ব্যাপারেও তার কোন ধারণা নেই। ইংরেজি বলতে না পারায় তার কথাও বোঝা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, তার স্বামী লাভলু বিমানবন্দরে এলেও সে মালয়েশিয়ায় যায়নি। ইমিগ্রেশন পুলিশ এ ব্যাপারে কোন তথ্য দিতে পারেনি। তাকে খুঁজতে দেশে অভিযান চলছে। কেন বিদেশী স্ত্রীকে বিমানবন্দরে রেখে সে পালিয়ে গেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান দূতাবাসের সাথে নূর সোহাফার বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছেও বলে জানান তিনি।
নূর সোহাফাকে শুক্রবার গভীর রাতে বিমানবন্দর এলাকা থেকে উদ্ধারের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রোববার আদালতে হাজির করা হলে মহানগর হাকিম আদালত তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পতেঙ্গা থানার ওসি আবুল কাশেম বলেন, মালয়েশিয়ার ওই নারী বিমানবন্দরে ঘোরাফেরা করছিলেন, সে সময় নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটক করেন। তার কাছে পাসপোর্ট বা অন্যকোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। ওই নারী জানিয়েছেন- লাভলু নামে বাংলাদেশি এক নাগরিকের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় তার বিয়ে হয়। লাভলুর সঙ্গে এক মাস আগে তিনি বাংলাদেশে আসেন। লাভলু ফরিদপুরের বাসিন্দা এবং ওই নারী বাংলাদেশে আসার পর সেখানেই তার সঙ্গে ছিলেন। এ তথ্য ছাড়া ওই নারী কিছু জানাতে পারেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ