Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কিশোরগঞ্জে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমতি পেয়েছে নিটল-নিলয় গ্রুপ

| প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমতি পেয়েছে নিটল-নিলয় গ্রুপ। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৯১ দশমিক ৬৩ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটির নাম হবে কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন (কেইজেড)। গতকাল এর প্রাক-যোগ্যতা লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ। আরও উপস্থিত ছিলেন নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ। আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বপ্ন যখন দেখবো, বড় স্বপ্নই দেখা উচিত। আমরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছি না। যে স্বপ্ন আমাদের ঘুমাতে দেয় না, দিচ্ছে না, এমন স্বপ্ন দেখছি। সবাইকে নিয়ে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর কাজ চলছে। এটি বাস্তবায়নে এগিয়ে চলছি। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য এখন আর নেই। ইকোনমিক জোন স্থাপনের স্বপ্ন এখন বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে এই স্বপ্ন আরও এগিয়ে যাবে। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, কিশোরগঞ্জে উল্লেখযোগ্য কোনো শিল্প নেই। সেখানে চিনিকলে যে কর্মসংস্থান ছিল অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে সেই কর্মসংস্থান আবার তৈরি হবে। আমরা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছি যেন কোনো জমি অলস পড়ে না থাকে। এইজন্য আমরা ব্যাপক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সাল নাগাদ দেশে ২০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত হবে। আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় নিয়ম মানার ওপর খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা চাই বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো সব নিয়ম মেনে দ্রæত মহাপরিকল্পনা বা মাস্টারপ্ল্যান ও সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ করে বিনিয়োগের জন্য তৈরি হোক। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই ইকোনমিক জোনগুলো দ্রুত ভূমিকা রাখতে পারবে।
নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, আমরা আশা করছি আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি বিনিয়োগের উপযোগী করে ফেলতে পারব। এর মধ্যেই সেখানে একটি কারখানা নির্মাণ শুরু হবে। সব মিলিয়ে আমরা এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০০ থেকে ১২৫টি মাঝারি কারখানা করার জন্য জমি দিতে পারব। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে অনেকে সেখানে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। বিশেষ করে কিছু জাপানি প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ আছে। আমরা সেখানে জমির ইজারা মূল্যও অন্যান্য বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের চেয়ে কম রাখবো।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে একটি সরকারি চিনিকলের জমিতে, যার নাম কালিয়াচাপড়া চিনিকল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এটি ২০০৪ সালে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হয়। সেটি কিনে নেয় নিটল-নিলয় গ্রুপ।
এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস-বিদ্যুৎ-সংযোগ আছে। পাশাপাশি এটি ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রেললাইনের গোচিহাটা রেলস্টেশনের সঙ্গে নিজস্ব লাইন দ্বারা সংযুক্ত আছে। এর জমিও বিনিয়োগের উপযোগী, মাটি ভরাট করতে হবে না।
বেজা জানিয়েছে, কিশোরগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রথম বছরে ২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। পরবর্তী পাঁচ বছরে সেখানে ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ঠিক করেছে। এর মধ্যে কিছু হবে বেসরকারি খাতে। বেজা ইতোমধ্যে ৪টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের চূড়ান্ত লাইসেন্স দিয়েছে। সব মিলিয়ে ১৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রাক-যোগ্যতা লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ