Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৬১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

হাওর দুর্নীতি

| প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি, অনিয়ম ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারসহ মোট ৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামিদের মধ্যে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন  বোর্ডের বরখাস্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফছার উদ্দীন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান  মেসার্স ইব্রাহিম ট্রেডার্স অ্যান্ড শামিম আহসানের স্বত্ত¡াধিকারী মো. বাচ্চু মিয়াকে গ্রেফতাও করেছেন তদন্তকারীরা। দুদকের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, কমিশনের সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ রোববার সুনামগঞ্জ সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি ও কাজে অবহেলার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৬১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
গত মার্চের শেষ দিকে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিস্তীর্ণ হাওর এলাকা তলিয়ে যায়। দুর্বল ও অসমাপ্ত বাঁধ ভেঙে প্লাবন ও ফসলহানির পেছনে বাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিকে দায়ী করে ঢাকায় মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশও হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী হাওরাঞ্চলের ছয় জেলায় মোট দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়; ক্ষতির শিকার হয় আট লাখ ৫০ হাজার ৮৮টি পরিবার। এই প্রেক্ষাপটে হাওর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক। দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেনকে প্রধান করে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। তদন্ত চলার মধ্যেই সিলেটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই এবং সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফসার উদ্দীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।  মামলার আসামিদের মধ্যে ১৫ জন সিলেট বিভাগ ও সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন  বোর্ডের কর্মকর্তা। বাকি ৪৬ জন ঠিকাদার।
পাউবো কর্মকর্তাদের মধ্যে আফছার উদ্দীন ছাড়া বাকিরা হলেন- সিলেট অঞ্চলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম সরকার, সিলেট উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বরখাস্ত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই, সুনামগঞ্জ জেলা পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস, সুনামগঞ্জের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী খলিলুর রহমান।
এছাড়া সুনামগঞ্জের সেকশন কর্মকর্তা শহিদুল্লা, ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ খান, খন্দকার আলী রেজা, রফিকুল ইসলাম, শাহ আলম,  বরকত উল্লাহ ভূঁইয়া, মাহমুদুল করিম, মোছাদ্দেক, সজীব পাল ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।
আসামিদের মধ্যে ৪৬ ঠিকাদার হলেন- আফজালুর রহমান, খন্দকার শাহীন আহমেদ, জিল্লুর রহমান, সজীব রঞ্জন দাস, পার্থ সারথী পুরকায়স্থ, হান্নান আহমেদ, খাইরুল হুদা চপল, কামাল হোসেন, কাজী নাজিমুদ্দিন, খন্দকার আলী হায়দার, আকবর আলী, রবিউল আলম, আবুল হোসেন, শিবব্রত বসু, মোজাম্মেল হক মুন, মো বাচ্চু মিয়া, শেখ মো. মিজানুর রহমান, আবুল মহসীন মাহবুব। এছাড়া ঠিকাদার বিপ্রেশ তালুকদার বাপ্পি জামিল ইকবাল, চিন্ময় কান্তি দাস, নিয়াজ আহমেদ খান, মিলন কান্তি দে, খান ওয়াহিদ রনি প্রমুখকে আসামি করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুদক

৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ