পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নিন্ম আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট ১৫ জুলাইয়ের আগেই প্রকাশ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। গতকাল রোববার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গেজেট প্রকাশের জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে আরও দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে বলেছেন, এটাই শেষ সুযোগ।
সহকারী জজদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আইনমন্ত্রী বক্তব্য দেয়ার পর সাংবাদিকরা তার কাছে গেজেট প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বিচারকদের শৃঙ্খলার ওপর প্রভাব রাখবে। খুঁটিনাটি বিষয়গুলো দেখে এটা করা উচিত, যেন এর মধ্যে এমন কিছু না থাকে, যা পরে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এটি অত্যন্ত সু²ভাবে দেখা হচ্ছে। আমি আশা করি এ মাসের ১৫ তারিখের আগেই গেজেট হয়ে যাবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আগামী ৯ জুলাই আইন মন্ত্রণালয় ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ও কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন।
আমার মনে হয় সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও প্রতিনিধি থাকবেন। সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে একটা শেষ ড্রাফট করার চেষ্টা করব।
৫৭ ধারার বিকল্প হিসেবে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন আসছে কিনা- এমন প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, যে ড্রাফট এখনো শেষ হয়নি, সেটার উপর আপনারা যে অভিমত দিচ্ছেন, আমি বলব তা প্রিম্যাচিউর আলোচনা।
বিচারকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের বিচারক হয়ে ওঠার পেছনে এ দেশের গরীব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ অবদান রয়েছে। আর আপনাদের কর্মক্ষেত্রই হল বিচারপ্রার্থী এসব মানুষের শেষ ভরসাস্থল। তাই বিচারিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এসব সাধারণ জনগণ বিচার বিভাগকে কোন্ দৃষ্টিতে দেখছেন কিংবা তাদের চোখে ন্যায়বিচারের ধারণাই বা কেমন সেটিকে বিবেচনায় নিয়ে আপনাদের কাজ করতে হবে।
বিচারপ্রার্থী জনগণের অল্প সময়ে, অল্প ব্যয়ে ও সহজে ন্যায় বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করণে আপনাদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। নিছক গতানুগতিক বা দায়সারা ভাব পরিহার করে কর্মক্ষেত্রে আপনাদের সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
আপনাদের বিন্দুমাত্র লোভ কিংবা অসততার কারণে বিচার বিভাগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে যাতে কোনো হতাশা বা বিরূপ ধারণার সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, আপনাদের পেশার গুরুত্ব যথাযথভাবে অনুধাবন করে বর্তমান সরকার আপনাদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করেছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ) ড. শেখ গোলাম মাহবুব স্বাগত বক্তৃতা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।