Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্রেফতার আতঙ্কে দিশেহারা মানুষ : ছাড়ছে এলাকা

তানোরে খেলাপী ঋণের জালে বন্দি অনেক হতদরিদ্র পরিবার

| প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরে পুলিশের অভিযান ও গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকার অসংখ্য হতদরিদ্র পরিবার দিশেহারা হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, তানোরে দীর্ঘ প্রায় একযুগ পরে খেলাপী ঋণ আদায়ের নামে এসব হতদরিদ্রদের বাড়ী বাড়ী পুলিশের অভিযান ও গ্রেফতার আতঙ্কে অনেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এমনকি অনেক গৃহিনীরাও নিজ বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র আতœীয়-স্বজনদের বাড়িতে অবস্থান করছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সচেতন মহলের অভিমত যখন দেশে হলমার্ক ও যুবক নামের প্রতিষ্ঠান সরকারের হাজার হাজার কোটি আতœসাৎ করে বহাল তবিওতে রয়েছে, তখন এক থেকে তিস হাজার টাকা পর্যন্ত কথিত খেলাপী ঋণ আদায়ের নামে হতদরিদ্র পরিবারে পুলিশ পাঠানো কতটুকু নৈতিক সেটি সরকারের ভেবে দেখা উচিৎ।
জানা গেছে, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে বিএনপির এক নেতা তানোর সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার নেপথ্যে যোগসাজশে এলাকার বিভিন্ন হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে ছাগল পালনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে ঋণ গ্রহণ ও আতœসাৎ করেছেন। এদিকে বিষয়টি জানজানির পরে বেশিরভাগ ঋণের টাকা পরিশোধও করা হয়। দীর্ঘ প্রায় একযুগ এসব ঋণের বিষয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি। অথচ প্রায় একযুগ পর হঠাৎ করেই খেলাপী ঋণ আদায়ের জন্য পুলিশ বাড়ী বাড়ী হানা দিয়ে তাদের নানা ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে। তানোর পৌর এলাকার গুবিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী সাহেরা বেওয়া ‘৫৫’ বলেন, তিনি কখনই ছাগল পালনের জন্য ঋণ গ্রহন করেননি, কিšত্ত তার পরেও তিনি ঝামেলা এড়াতে প্রায় ১২ বছর পূর্বে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। অথচ প্রায় ১২ বছর পর ঈদের আগের দিন পুলিশ তার বাড়ি গিয়ে খেলাপী ঋণ পরিশোধের জন্য আল্টিমেটাম দিয়ে এসেছে। আব্দুল হান্নানের স্ত্রী লাভলী বেগম ‘২৮’ বলেন, তিনি কখনই ছাগল পালনের ঋণ গ্রহণ করেননি, অথচ তাকে ১২ বছর আগে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। এখন দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পরে তার বাড়িতে পুলিশ গিয়ে খেলাপী ঋণ পরিশোধ করার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেছেন। এব্যাপারে তানোর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোখলেসুর রহমান বলেন, অফিসের খাতায় যাদের ঋণ পরিশোধ দেথানো আছে তাদের কোনো সমস্যা নাই। কিšত্ত খাতায় যাদের নামে ঋণ দেখানো হয়েছে তাদের কাছে থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য মামলা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কেউ যদি ঋণ গ্রহীতার কাছে থেকে টাকা আদায় করে অফিসের খাতায় জমা না করেন তাহলে সেই দায় তার নয়। এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রেজাউল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোজখবর নিয়ে দেখা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ