Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদপুর রুটে ৪ গুণ যাত্রী নিয়ে চলছে লঞ্চ

| প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুর থেকে অধিকাংশ লঞ্চ ধারণ ক্ষমতার ৪ গুন যাত্রী নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করছে। এতে করে যে কোন মূর্হুতে লঞ্চগুলো নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়তে পারে বল আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে যাত্রী বোঝাই করলেও দেখার যেন কেউ নেই।
গতকাল শনিবার চাঁদপুর নৌ-টামিনালে দেখা গেছে, ঈদুল ফিতরের ৫ দিন অতিবাহিত হলেও চাঁদপুর থেকে ঢাকা অভিমুৃখি যাত্রীদের তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রতিটি লঞ্চ ধারণ ক্ষমতার তিন গুন ও চার গুন যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। ঈদের আগে চাঁদপুরসহ পাশর্^বতী ল²ীপুর, নোয়াখালী, রায়পুর, রামগঞ্জ ও শরিয়তপুরের শত-শত যাত্রী নাড়ির টানে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে আসেন। এবার ঈদের ছুটির পর শুক্র ও শনিবার সামনে থাকায় যাত্রীরা ঈদের পর পর তাদের কর্মস্থলে যোগদান করতে বিলম্ব করে।
ঈদের ছুটির পর গত শনিবার ও রোববার কর্মস্থলে অফিস, আদালত, ব্যাংক, বীমা ও গার্মেন্টসে যোগদান করতে যাত্রীদের স্রোত নামে। কর্মমুখী নারী-পুরুষ পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনের মায়া না করে প্রতিটি লঞ্চে উপচে পড়া ভিড় থাকার পরও তারা তা উপেক্ষা করে ৩/৪ গুন যাত্রীর অংশ হয়ে লঞ্চে উঠছে। প্রতিটি লঞ্চের কেবিন, প্রথম শ্রেনীসহ প্রতিটি আসন ভরপুর হয়ে যাওয়ার পরও ডেকে-মেঝেতে বসে ও ছাদের উপর উঠে যাত্রীরা গন্তব্যে যাত্রা করছে। এ সব যাত্রীরা চাঁদপুর ছাড়াও পাশর্^বতী জেলা নোয়াখালী, ল²ীপুর, রায়পুর, রামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদপুর এসে নৌ-পথে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করছে সময় বাঁচানোর জন্য।
নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, কমিউনিটি পুলিশ ও বিআইডবিøউ টি এ কর্তৃপক্ষের সামনে ধারণ ক্ষমতার তিন,চার গুন যাত্রী নিয়ে লঞ্চ গুলো ঢেউ ও স্রোত ঠেলে নদীর মাঝখানে আসলে যাত্রীর ভারে টলমল করতে থাকে। যে কোন সময় লঞ্চ এক দিকে কাত হয়ে ডুবে যেতে পারে। এতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি বিপ্লব সরকার জানান,স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশী যাত্রী এখন যাচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রীর কারনে জাহাজ নির্ধারিত সময়ের আগে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
চাঁদপুর নৌ-বন্দর কর্মকতা মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লঞ্চগুলোতে ধারণ ক্ষমতার তিন/চার গুন যাত্রী যাচ্ছে তা ঠিক না । ওভারলোড হচ্ছে যাত্রী চাপের কারনে। তবে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। যাত্রীর চাপ বেশী থাকায় অতিরিক্ত যাত্রী ও যাচ্ছে । নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় জরিমানা করা যাচ্ছেনা। তবে মোবাইল কোটের মাধ্যমে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া লঞ্চকে জরিমানা করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ