বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর ব্যুরো : পুলিশী গ্রেপ্তার এড়াতে পালানোর সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতলেব বিশ্বাস (৭১)। শনিবার দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়ীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবার ও তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা এই মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন। আর এর জন্য তারা পুলিশকে দায়ী করে আদালতের আশ্রয় নেবেন বলে জানান।
নিহত আব্দুল মতলেব বিশ্বাস সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের ২৭ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। সে কারণে তিনি এলাকায় মতলেব চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
‘পুলিশকে ম্যানেজ করার জন্য’ যুদ্ধাহত এই মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা দফায় দফায় মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।
নিহত আব্দুল মতলেবের পরিবারের সদস্যরা জানান, পাশের গ্রাম ফুলবাড়িতে মতলেব বিশ্বাসের মেয়ে জেসমিন নাহার বর্ষা বসবাস করেন। বর্ষার স্বামী আশরাফ আলীকে গ্রেপ্তার করতে শনিবার রাত ১টার দিকে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বর্ষা এই খবর ফোনে বাবাকে জানিয়ে তাকে বাড়ি থেকে সরে পড়তে বলেন।
‘বর্ষার ফোন পেয়ে তড়িঘড়ি করে তিনি বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন। এরই মধ্যে সাদা পোশাকের একদল পুলিশ মতলেব চেয়ারম্যানের বাড়িতে চড়াও হয়। নিরুপায় হয়ে তিনি ভায়রার ছেলে সাইফুজ্জামান মুন্নাকে নিয়ে বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বাড়ি থেকে ৩০০-৪০০ মিটার দূরে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। সেখানেই তার মৃত্যু হয়,’ জানান মতলেব বিশ্বাসের আরেক মেয়ে নাজমুন নাহার পলি।
খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা মতলেবের মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে আনেন। এ সময় সেখানে হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ওসি আজমল হুদা বলেন, ‘গত রাতে পাঁচবাড়ীয়া গ্রামের দিকে কোনো পুলিশ পাঠানো হয়নি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।