Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শৈলকুপার বড়দাগ্রাম লোক শূন্য

| প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহজেলা সংবাদদাতা : খুনের মামলা তুলতে আবারো খুনের ঘটনায় শ্বশানে পরিণত হয়েছে একটি গ্রাম। বর্তমানে গ্রামের ৫০টি পরিবারের শাতাধিক সদস্য গ্রাম ছাড়া হয়েছে। জনমানবহীন ঘরবাড়িগুলো খা খা করছে। ক্ষেতের ফসল ও বাড়িঘরে লুটপাট করা হচ্ছে এমন অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বড়দাহ গ্রামে। গ্রামবাসি সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক বিরোধের জের ধরে গত ২৭ জুন বড়দা গ্রামে সাবেক মেম্বর আনোয়ার হোসেন আলা ও বর্তমান মেম্বর নজরুল ইসলামের সমর্থকরা মারামারিতে লিপ্ত হয়। দুই গ্রæপের সংঘর্ষে আহত হন আলা গ্রæপের সমর্থক মনিরুদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। তিন দিন পর গত বৃহস্পতিবার মনিরুদ্দীন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত মনিরুদ্দিন ওই গ্রামের তোরাব বিশ্বাসের ছেলে। গতকাল গ্রামটি ঘুরে দেখা গেছে, আসামী পক্ষের ৬/৭টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। বাড়ির সব কিছুই লুট করা হয়েছে। আসামীদের ক্ষেতের ফসল, পুকরের মাছ ওগোয়ালের গরু ছাগল নেই। হত্যা মামলায় ৩৫ জন আসামী হলেও নতুন করে দাঙ্গার ভয়ে বাড়ি ছাড়া অনেক মানুষ। বড়দা গ্রামের সাবেক মহিলা মেম্বর শাহানা খাতুনের ভাষ্যমতে ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রয়ারী সামাজিক দ্বন্দের জের ধরে খুন হয় আব্দুর রশিদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি ছিলেন সদ্য নিহত মনিরুদ্দীনের আপন চাচাতো ভাই। রশিদ হত্যা মামলার আসামী ছিলেন বর্তমান মেম্বর ও আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম। রশিদ হত্যা মামলা তুলে নিতে প্রতিপক্ষ মনিরুদ্দীনের পরিবারের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এ নিয়ে গ্রামে নতুন করে বিবাদ সৃষ্টি হয়। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের জামায়াতের মতো তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নতুন করে বিবাদের সৃষ্টির পর আলা ও নজরুল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মনিরুদ্দীনসহ বেশ কয়েক জন আহত হন। তিন দিন পর ঢাকায় চিকিৎসধীন অবস্থায় মারা যান মনিরুদ্দীন। লাশ দাফনের পর থেকেই বড়দা গ্রামে ভাংচুর লুটপাট শুরু হয় বলে গ্রামবাসির অভিযোগ। সেই থেকে সেখানে আতংক ও ভীতি বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, বড়দা গ্রামের দ্বন্দকোন দলীয় নয়, এটা সামাজিক। একপক্ষের লোক খুন হওয়ার পর আসামীরা তাদের মালামাল নিয়ে বাড়িছাড়া হয়েছে। সেখানে কোন লুটপাট হয়নি।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলীশেখ জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাই জিয়ারত বিশ্বাস বাদি ৩৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ