Inqilab Logo

সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দক্ষিণ-পশ্চিমের ৩৬টি আসনের চিত্র বিশ্লেষণ করছে আ’লীগ বিএনপি

| প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মিজানুর রহমান তোতা : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক হিসাব নিকাশ তলে তলে শুরু হয়ে গেছে। কোন আসনের কি চিত্র তা সংগ্রহ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধীদল বিএনপি চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে। কেন্দ্র থেকে দফায় দফায় নানা তথ্য সংগ্রহ করে প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল। কোন কোন আসন জোটের শরীক দলকে ছেড়ে দেওয়া যায়, ছেড়ে দিলে কি হতে পারে, কোন আসনে বর্তমান এমপি’র জনপ্রিয়তা কি, বিরোধী দল শক্তিশালী প্রার্থী দিলে তার বিপরীতে টিকে থাকা যাবে কাকে মনোনয়ন দিলে-এসব গভীরভাবে পর্যালোচনা করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এই তথ্য দলীয় একাধিক সুত্রের। একইভাবে বিএনপি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করছে। তারা দশম সংসদ নির্বাচনের কে প্রার্থী ছিল আর কে না ছিল সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছে না। কারণ ওটি ছিল একতরফা নির্বাচন। তুমুল প্রতিদ্ব›িদ্বতাপুর্ণ নির্বাচন ছিল নবম সংসদ নির্বাচন। তারই আলোকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে আসনভিত্তিক আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন। দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিমের ১০ জেলায় (খুলনা বিভাগ) মোট ৩৬টি আসনে আসনভিত্তিক নির্বাচনী জরিপ চালিয়েছে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের ফিল্ড অফিসাররা ৩স্তরে প্রার্থী তালিকা দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীদের কার কি অবস্থানও দলীয় একাধিক টিমের মাধ্যমে তারা সংগ্রহ করেছে। প্রার্থী ছিলেন না বা হতে আগ্রহী নন অথচ ক্লিন ইমেজ আছে এমন অরাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিত্ব এবং অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও সেনা অফিসার খুঁজে বের করা হচ্ছে। বর্তমান এমপিদের কর্মকান্ডে কে নিন্দিত কে নন্দিত, কে মাঠে নামেন না, জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আছে কি নেই, ক্ষমতায় থাকার সুবাদে কে কে রাতারাতি অর্থবিত্তের মালিক হয়ে নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন, দলের ভাবমূর্তি করেছেন ক্ষুন্ন তাদের জন্য অশনীসংকেত ধ্বনিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এমপিদের আমলনামা কেন্দ্রের হাতে পৌছেছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্র জানায়, যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, নড়াইল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গার ৩৬টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন মহাজোটের অন্তত১৫জন এমপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন নাও পেতে পারেন জনবিচ্ছিন্ন ও দুর্নীতিসহ নানা কারণে। তারা রয়েছেন মারাত্মক ঝঁকিতে। এর মধ্যে খুলনায় ২, যশোরে ৩, ঝিনাইদহ ২, কুষ্টিয়ার ২, নড়াইলের ১, সাতক্ষীরা ২, বাগেরহাটের ১, চুয়াডাঙ্গায় ১, মাগুরায় ১ মোট ১৫টি আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের কথা আভাস পাওয়া গেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩৬টি আসনের মধ্যে নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগসহ মহাজোট পেয়েছিল ৩৪টি। আর বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ২টি। এর আগে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে উল্টোচিত্র ছিল আওয়ামী লীগ পেয়েছিল মাত্র ২টি। ২৯টি বিএনপি আর বাদবাকি জোটের ষরীক দল পায়। একতরফা দশম সংসদ নির্বাচনে ৩৬টির মধ্যে ৩৩টি আওয়ামী লীগ ও বাকি ৩টি পায় মহাজোটের শরিক দল। মাঠ রাজনীতির খোঁজ নিয়ে সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রাজনীতি এখন যা চলছে তা মূলত আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরেই। প্রধান দু’টি দল ও জোটের লক্ষ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কোন আসনে কাকে প্রার্থী করলে অনায়াসেই বিজয়ী হওয়া যাবে সেই চিন্তা এখন মাথায়। জাতীয় পার্টি, জাসদ, জেএসডি ও ওয়ার্কার্স পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলও বসে নেই। তাদের দলীয় কর্মকান্ড ও আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে আগামী সংসদ নির্বাচন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ