পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামপুর (জামালপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : নাড়ীর টানে এসেছিলেন বাড়ী। ঈদের আনন্দ নিতে। এখন ঈদ শেষ। এখন ছুটছেন কর্মস্থলে। এজন্য প্রচন্ড ভীড় যান বাহনে। এ সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা। ফলে ইসলামপুর শহরসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এ অভিযোগ প্রায় সবগুলো দূর পাল্লার বাস কাউন্ডারসহ সিএনজি ও বেটারি চালিত অটোরিক্সা স্টেশনগুলোতেই। এ কারণে নাড়ীর টানে গ্রামে আসা লোকেরা পড়েছেন হয়রানীসহ বিপাকে ।
ইসলামপুর গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সবুজ খন্দকার জানান, ইসলামপুর থেকে ঢাকার প্রকৃত ভাড়া ৩শ’থেকে ৩শত ৫০ টাকা । ঈদুল ফিতরের পর এ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৬শত থেকে ৬শত ৫০টাকা ।
উপজেলার গুঠাইল বাজার, আমতলী বাজার, উলিয়া বাজার ঝগড়ার চর থেকে নেয়া হচ্ছে আরো বেশি। বিভিন্ন বাজারে ঘুরে যাত্রীদের সাথে কথা বলে পাওয়া যায় এমন তথ্য। হতদরিদ্র্য যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়ার ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্যে নিচ্ছেন জীবনের ঝুঁকি। কর্মস্থলে ফিরছে ট্রাকে করে । কেউবা দাঁড়িয়ে বাসে যাচ্ছেন। প্রধান সড়কে দাড়িয়েই কয়েক মিনিট পর পর দেখা যায় এমন চিত্র।
গতকাল ইসলামপুর থান মোড় থেকে ঢাকাগামী যাত্রী মমিনুর ইসলাম। বাড়ি গোয়ালের চর মোহাম্মদপুর এলাকায়। তিনি জানান, স্টেশনে টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রে ঈদের বিশেষ ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য শত শত যাত্রীর উপচেপড়া ভিড় দেখে ট্রেনের দুটি টিকিট চাইতেই ভেতর থেকে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয় আন্তনগর কোনো ট্রেনেরই টিকিটি নেই। টিকিট শেষ হয়ে গেছে। নিরুপায় এসেছি ওই ট্রাকের কাছে। নাপিতের চর হতে আসা সোহাগ জানান, ফেরার সময় প্রতিজনের কাছ থেকে ২/৩শ করে টাকা অতিরিক্ত ভাড়া দিব কোথায় থেকে? তাই বাসে দাঁড়িয়ে যাব। তবুও ১শ টাকা বেশি দিতে হবে। ইসলামপুর পৌর এলাকার বিল্লু মন্ডল জানান, বাসের ভাড়া বেশি। এজন্য ট্রাকের অপেক্ষা করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহন শ্রমিক নেতা জানান, সবাই ঈদে বোনাস পায়। আমাদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়টা মনে করেন বোনাস।
এ উপজেলার প্রায় সব কাউন্টারে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। তবে সাধারণ যাত্রীদের দাবি, কাউন্টার গুলোতে পুলিশের মনিটরিং বাড়ালে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবে যাত্রীরা। ইসলামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ দ্বীন-ই-আলম জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। মানুষ যাতে হয়রানি না হয় সেই দিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম এহছানুল মামুন জানান, সাধারন যাত্রীরা যাতে হয়রানী না হয় সে দিক থেকে প্রশাসনের নজর রয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে পর্যবেক্ষন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।