Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্দরগঞ্জে ৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

| প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : সুন্দরগঞ্জে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার সোলার সরবরাহ, ভবন নির্মাণে জালজালিয়ারিত আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ২৪ লাখ আত্মসাত করায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, জেলা পরিষদের উপ-সহকারি প্রকৌশলী, সুন্দরগঞ্জ ডি ডবিøউ কলেজের অধ্যক্ষ, ঠিকাদার ও প্রয়াত এমপি লিটনের শ্যালকের স্ত্রীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ মোজাহার আলী সরদার বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় পৃথক পৃথক ৬ টি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় বিশেষ বরাদ্দের প্রথম পর্যায়ের ৩০০ মেঃ টন খাদ্য শস্যের বিপরীতে ১৪ টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেয়া হয়। এরমধ্যে ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা মৌজার ভেকির বাজার হতে চৌধুরী বাড়ি হয়ে কামারপাড়া রেল ষ্টেশন পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য ২০ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। দুদকের পরিমাপ অনুযায়ী ২৬.১৪% কাজ করা হয়নি। অথচ সমুদয় চাল উত্তোলন করে পিআইও নুরুন্নবী সরকার ও প্রকল্প সভাপতি আ’লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সুজা আত্মসাত করেন। প্রতি টন ৩৬ হাজার ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা সরকারি হিসেবে এ প্রকল্পে এক লাখ ৯১ হাজার ৬৮১ টাকা ৪৩ পয়সা আত্মসাত করেন।
একই অর্থ বছরে ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা মৌজার আলমগীর হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন পাকা রাস্তা হতে ল্যাংগা খাল ফুট ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের জন্য ৪০ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। দুদকের পরিমাপ অনুযায়ী ১৫.৭৬% কাজ করা হয়নি। অথচ সমুদয় চাল উত্তোলন করে পিআইও নুরুন্নবী সরকার ও প্রকল্প সভাপতি আলমগীর হোসেন চৌধুরী মিলন আত্মসাত করেন। সরকারি মূল্য হিসেবে ২ লাখ ৩১ হাজার ১৩২ টাকা ৩১ পয়সা আত্মসাত করেন।
দুদক কর্তৃক দায়েরকৃত ৬টি মামলার আসামীরা হচ্ছেন কুড়িগ্রাম জেলা সদরের কৃষ্ণপুর গ্রামের (বেজিরভিটা) মৃত দবির উদ্দিন সরকারের পুত্র সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ নুরুন্নবী সরকার, উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মৃত হাফিজার রহমান চৌধুরীর পুত্র আ’লীগ নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সুজা ও তার ভাই মোঃ আলমগীর হোসেন চৌধুরী মিলন এবং হরিপুর ইউনিয়নের লখিয়ারপাড়া গ্রামের মোঃ আলেপ উদ্দিনের পুত্র হরিপুর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মোঃ মঞ্জুরুল হক উদ্দিন, জেলা পরিষদের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মশিউর রহমান প্রধান, ঠিকাদার মাসুদুল হক, কলেজ অধ্যক্ষ এ.কে.এম.এ. হাবিব সরকার, প্রয়াত এমপি লিটনে শ্যালকের স্ত্রী নাসরিন আক্তার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ