রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বাগমারা (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাগমারায় উপজেলা আ’লীগ দু’ভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ইমেজ সংকটে পড়েছে বাগমারার এমপি ইঞ্জিঃ এনামুল হক। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক রকম হঠাৎ করেই নৌকা প্রতীক নিয়ে আর্বিভূত হন বর্তমান এমপি ইঞ্জিঃ এনামুল হক। নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করে তাকে বিজয়ী করেন। তিনি কোন দিনও বাংলাদেশ আ’লীগের একজন সমর্থক না হয়েও নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মূল ধারার আ’লীগ নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে এনামুল লীগ সৃষ্টি করে দলের মধ্যে শুরুথেকেই বিভাজন প্রক্রিয়া শুরুকরেন। ঐ সময় যারা তাকে সমর্থন দিয়ে রাত-দিন পরিশ্রম করে এমপি নির্বাচিত করেছেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর পরই তাদেরকে বিতারিত করেন। শুরুহয়ে যায় দলের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দল সৃষ্টি করে। তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একটি সিডিকেট তৈরী করে তাদের মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্য সহ নানা রকম দূর্ণীতি ও লোটপাটের রাজত্ব কায়েম করেন। এতে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে এমপি ইঞ্জিঃ এনামুল হক দুরে সরে পড়েন। কিছু জন বিচ্ছিন্ন, বির্তকিত ব্যক্তিদের নিয়ে রাজনীতি বানিজ্য অব্যহত রাখেন। যা এখনও চলমান রয়েছেন। তিনি ও তার মিসেসসহ বাগমারার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবারের লোকজনদের সভাপতি মনোনীত করে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা নিয়োগ বানিজ্য করেছেন। এছাড়াও সরকারী, বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেওয়ার নামে তার গঠিত নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রতিবাদ করলেও বিতাড়িত হতে হচ্ছেন। এই নিয়োগ বানিজ্য ও অন্যান্য অনৈতিক কারণে ক্লিন ইমেজ আ’লীগের নেতাকর্মীরা এমপিকে প্রত্যাক্ষান করে আগামী দিনে বিকল্প নেতা কে হবেন সেই প্রক্রিয়াই শুরুকরেছেন মূল ধারার আ’লীগের নেতাকর্মীরা। আগামী সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিরলস ভাবে রাত দিন পরিশ্রম করে চলেছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক দুঃসময়ের আ’লীগের কান্ডারী আলহাজ্ব এ্যাড. জাকিরুল ইসলাম সান্টু। এছাড়াও তাহেরপুর পৌর মেয়র, কারা নির্যাতিত নেতা তাহেরপুর পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগসহ বিভিন্ন রকম প্রচারপত্র ও নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জাকিরুল ইসলাম সান্টু বলেন, বর্তমান এমপি ইঞ্জিঃ এনামুল হক ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন সাধারণ সমর্থকও ছিলেন না। তিনি এখনও বাগমারার আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদেরও চেনন না। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চাইবো। তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ বলেন, এমপি এনামুল হকের দূর্ণীতির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নিকট তুলে ধরা হবে। এছাড়াও কথিত প্রেস সচিব জিলুর রহমান ও পিএস মোলাহ এম আলতাফ হোসেন এর মাধ্যমে চাকুরী দেওয়ার নামে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে। উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধা বলেন আগামী সংসদ নির্বাচনে বর্তমান দূর্ণীতিবাজ এমপি ইঞ্জিঃ এনামুল হককে বাদ দিয়ে নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো। যোগীপাড়া ইউপি আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, বর্তমান এমপি এনামুল হক জঙ্গীবাদ ও সর্বহারা সন্ত্রাসীদের নিয়ে রাজনীতি করছে। তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে চলেছে। আমরা এ ধরনের নেতা চাইনা। সে কখনই আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলনা। তাই তিনি আ’লীগের লোকজন মানেই তার কাছে একটি বিরক্তিকর ব্যাপার। টাকা হলেই তিনি সবকিছু করেন। গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার বলেন, আমার ইউনিয়নে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলা ভাই এর সহযোগী আব্দুস সালামকে নৌকা প্রতীক দিয়ে তিনি বাংলাদেশ আ’লীগকে অপমানিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সেই মনোনয়ন বাতিল করে পরে প্রধানমন্ত্রী নিজেই আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। বর্তমানে বাগমারা উপজেলায় মূলধারার আ’লীগের নেতাকর্মীরা তাকে প্রত্যাক্ষান করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।