রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আবদুল হালিম দুলাল, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) থেকে : মঠবাড়িয়া তথা উকূলীয় এলাকার মানুষজনের রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নৌপথে যাতায়াতের একমাত্র বড়মাছুয়া স্টীমার ঘাটটি বলেশ্বরের ভাঙ্গনে বিলীনের পথে। স্টীমার ঘাটের যাত্রী বিশ্রামাগারটির যাত্রী ছাউনি গত ৪/৫ বছর ধরে বিধ্বস্ত হয়ে পরে থাকায় যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। এব্যাপারে ঘাট কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বরাবর একাধিকবার লিখিত ভাবে অবহিত করলেও কোন সুরাহা হয়নি।
সূত্রে জানাগেছে, ১৯৮৮ সালে বিআইডবিøউটিসি’র তৎকালীন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম) বড়মাছুয়া স্টীমার ঘাটটি উদ্বোধন করেন। সেই থেকে মঠবাড়িয়ার একমাত্র স্টীমার ঘাটটি থেকে উপকূলীয় এলাকার অসংখ্য মানুষ ঢাকসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত নদী ভাংগনে ঘাটটি ভেঙে এখন প্রায় বিলীনের পথে। স্টীমার ঘাট সংলগ্ন বাসিন্দা আনসার আকন জানান, দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত নদী ভাংগনে স্টীমার ঘাটটি এখন বিলুপ্তির পথে। ঘাটটি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রæত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
স্থানীয় হেমায়েত উদ্দিন জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে আমি যাত্রী বিশ্রামগারটি রক্ষানাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু গত ৪/৫ বছর ধরে বিশ্রামাগারটির টিনের চালা ভেঙ্গে পড়ায় বর্ষা মৌসুমে যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। বাধ্য হয়ে স্টীমার যাত্রীরা স্থানীয় দোকানে কিংবা পল্টনে বিশ্রাম নেয়। তিনি দ্রæত যাত্রী ছাউনি সংস্কার করার দাবী জানান।
বড়মাছুয়া স্টীমার ঘাট বিআইডবিøউটিসি সিনিয়র টি এস জাকির হোসেন জানান, নদী ভাঙ্গন, স্থায়ী জেটি নির্মাণ, যাত্রী বিশ্রামাগার ও সাইক্লোন সেল্টার থেকে রকেট ঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মাণের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করলেও কোন সুরাহা হয়নি।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফরিদ উদ্দিন জানান, বড়মাছুয়া স্টীমার ঘাটটি একটি জন গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখানের নদী ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে ঘাটটি একদিন বিলীন হয়ে যাবে। এটি জেলা পরিষদের আওতায়। তাই বিষয়টি নিয়ে আমি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে ভাঙ্গন রোধসহ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।