পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতি আর লুটপাটের টাকা ক্ষমতাসীনরা সুইস ব্যাংকে পাচার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। গতকাল শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা রাখার পরিমাণ আরো বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে এক হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ জমা হয়েছে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে। অথচ সারা দুনিয়া থেকে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে অর্থ জমার পরিমাণ কমেছে।
টাকা পাচারের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের লোকেরা জড়িত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, মূলত দুর্নীতি আর লুটপাটের টাকা সুইস ব্যাংকে পাচার করেছে ক্ষমতাসীনরা। সে ব্যাংক লুটের টাকাই সুইস ব্যাংকে পাচার হয়েছে বলে সবাই বিশ্বাস করে। তা না হলে অর্থমন্ত্রী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অসহায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন না। বিএনপির নেতা বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার জোর করে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। লুটপাটের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সমস্ত আর্থিকখাত ধ্বংস করে দিয়েছে। যা অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে কিছুটা ফুটে ওঠেছে। তাছাড়া বেসিক ব্যাংক কেলেংকারি, হলমার্ক, শেয়ারবাজার, সোনালীব্যাংক কেলেংকারি, অগ্রণীব্যাংক কেলেংকারি, রুপালিব্যাংক কেলেংকারির মতো বড় বড় ঘটনা ঘটেছে। অথচ একটিরও বিচার হয়নি বা সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। রিজভী আহমেদ বলেন, এর পেছনে কারা জড়িত তা সরকার ভালো করেই জানে। জনগণও জানে। কারা সুইস ব্যাংকে টাকা পাচার করছে, কারা কানাডায় বেগম পল্লী গড়ে তুলেছে, কারা মালেশিয়ায় সেকেন্ডহোম বানাচ্ছে তার জবাব জনগণ একদিন দিবে।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বলতে চাই দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচারের জন্য দায়ীদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সরফত আলী সপু, তাইফুল ইসলাম টিপু ও এম এ মালেক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।