Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পলাশে হামলার ঘটনায় ৬৬ জনকে আসামি করে মামলা

| প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার নরসিংদী থেকে: পলাশের কেন্দুয়াব গ্রামে যুবলীগনেতা দেলোয়ার হোসেন দেলু বাহিনীর হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পলাশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জনৈক সফিক মিয়া বাদী হয়ে দেলোয়ারের সহযোগী, আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুলকে প্রধান আসামী করে নামে বে-নামে ৬৬ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেছেন। যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলু একজন পেশাদার অপরাধী এবং ভয়ংকর সন্ত্রাসী বিধায় তার বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না কেউ। হামলার ঘটনার পর নরসিংদী জেলা যুবলীগের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী ও সাধারন সম্পাদক শামীম নেওয়াজ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন তারা। এলাকার জনগনের নিকট থেকে ঘটনা জেনে এবং শুনে সন্ত্রাসী দেলোয়ারের নেতৃত্বাধীন ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে ভেঙ্গে দিয়েছেন। মামলা দায়েরের পর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পলাশ থানা পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে। তবে পুলিশ কোর্টে চালান দিয়েছে ৫ জনকে।
জানা গেছে, ডাঙ্গা ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাদল মেম্বারের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ দলীয় কোন্দল চলে আসছে। এরই জের হিসেবে ঈদের ২ দিন পূর্বে এই দু,যুবলীগ নেতার সমর্থকদের মধ্যে একটি সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত দু’ গ্রæপের মধ্যে দু-দফা হামলার ঘটনা ঘটে। দেলু বাহিনীর সদস্য ডাঙ্গা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ফখরুল ও সাধারন সম্পাদক সেলিমের নেতৃত্বে যুবলীগ সভাপতি দেলুর শালা বাবু, শুক্কুর আলী, বিল্লাল হোসেন, ইসমাইল, কবিরসহ প্রায় ২ শতাধিক যুবক কেন্দুয়াব বাজারের পাশে বাদল মেম্বারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বাড়িঘরে হামলা চালায়। এসময় তারা দোকান ও ঘরে থাকা জিনিসপত্র ভাংচুর করে ও নগদ টাকা স্বর্ণ অলংঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
এছাড়া সন্ত্রাসীরা একই এলাকার ফজলুল হক, শাহ আলম, মনির হোসেন, আরজু মিয়া, ইমান আলী, ছানা উল্লাহ, মহিলা মেম্বার নার্গিস, নুরুজ্জামান, মিস্টারসহ শতাধিক বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। এসময় সন্ত্রাসীরা ঘরের ঢেউটিনের বেড়া রামদা, চাইনিজ কুড়াল,দিয়ে কুপি ঝাঝড়া করে দেয়। হামলা শেষে ফিরে যাওয়ার সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা টেলিভিশন, স্বর্ণালংকার, নতুন কাপড় চোপড়সহ নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। তাদের এলোপাতাড়ি দায়ের কোপে হাতেম আলী, শাফিয়া বেগম, আরহান নামে আড়াই মাসের শিশুসহ কমবেশী ২০ জন গুরুতর আহত হয়। আহতরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে নরসিংদী জেলা যুবলীগ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী জানান, বৃহস্প্রতিবার দুপুরে তিনি ও সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজসহ জেলা যুবলীগ ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটি অত্যন্ত অমানবিক ও ন্যাক্কারজনক। আমরা এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি।
তিনি আরো জানান, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে যুবলীগের যেসব নেতা-কর্মী জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়া এর সাথে জড়িত প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তিও দাবী জানান তারা। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। মামলা নিয়েছি এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ