Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তানোরে প্রভাবশালী পরিবারের দাপটে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী

| প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) থেকে মমিনুল ইসলাম মুন : রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার ধানতৈড় গ্রামের বাসিন্দা মৃত জলিল হাজীর পুত্র আনিসুর রহমানের পরিবারের দাপট ও চরম দৌরাতেœ্য গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এদিকে ইকবাল হোসেন প্রতারণা করে অংশীদারদের সম্পত্তি বিক্রি করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর ওই সম্পত্তির দখল নিয়ে বিবাদমানদের মধ্যে চরম উত্তেজনাময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সম্পত্তির দখল নিয়ে যেকোনো সময় বিবাদমানদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এমনকি খুন-জখমের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে গ্রামবাসী শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে ইকবালের অপকর্মের কারণে ওই সম্পত্তির হিসাব ও পজিসন দখল নিয়ে অংশীদারদের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় সেলিম নামে একজন আহত হয়েছে। আহত সেলিম তানোর পৌর এলাকার ধানতৈড় গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের পুত্র। আর ওই দিনই সেলিম বাদী হয়ে ধানতৈড় গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র আনিসুর রহমান (৬৫) ও তার পুত্র ইকবাল হোসেনসহ ৩ জনকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে ধানতৈড় গ্রামবাসী সরেজমিন তদন্ত ও আনিসুর রহমানের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করে ডাকযোগে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধানতৈড় গ্রামের একাধিক প্রবীণ বলেন, বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত আর্থিক সুবিধা প্রদান করে আনিসুর রহমান এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। অনুসন্ধান করলেই এসবের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে দাবি করেন।
জানা গেছে, তানোর মৌজার ১০৫৫ নম্বর দাগে জমি রয়েছে ৯৮ শতাংশ, তার মধ্যে ৫৮ শতাংশের অংশীদার রাজ্জাক, সেলিম, আওয়ালসহ তার ভাই-বোনেরা। তারা দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ আনিসুরের পুত্র ইকবাল কোন অংশীদারের সঙ্গে পরামর্শ না করে গোপনে ও প্রতারণার মাধ্যমে সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে দিয়েছে। ধানতৈড় গ্রামের বাসিন্দা সেলিম জানান, তারা দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে জমি ভোগদখল করে আসছেন। অথচ আনিসুর রহমানের পুত্র বখাটে ইকবাল হোসেন গোপনে কিছু সম্পত্তি অন্যর কাছে বিক্রি করেছে। তিনি বলেন, একই দাগে তাদেরও জমি রয়েছে তবে তা তাদের জায়গার অনেক পিছনে। এব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই আব্দুল গণি জানান, একাধিকবার ডাকার পরেও আসেননি বিবাদীরা। তারা না আসায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় আনিসুর রহমান ও তার পুত্র ইকবাল হোসেনের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ