রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নাটোর জেলা সংবাদদাতা : পূর্ব বিরোধের জেরে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার রামশার-কাজীপুর গ্রামে আ.লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনজন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে থেমে থেমে মধ্য রাত পযর্ন্ত চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদসহ আ.লীগের ১১ নেতা কর্মীকে আটক এবং আহতদের উদ্ধার করে। আহতরা হলেন, রামশার-কাজীপুর গ্রামের ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারন সম্পাদক সাহাবুদ্দিন শাহ ও তার ভাই যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহিন শাহ এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাজাহান আলী শাহ। নলডাঙ্গা থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, একটি পারিবারিক বিষয় নিয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক এসএম ফিরোজ ও তার ভাতিজা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ সমর্থকদের মধ্যে পুর্ব বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ,মারপিট ও মামলা মোকদ্দমা লেগেইে থাকতো। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রামশার-কাজীপুর বাজারে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটা-কাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে আসাদ সমর্থকরা ফিরোজ সমর্থক শাজাহান আলী শাহকে বেদম মারপিট করে। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা । এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় সাহাবুদ্দিন শাহ, শাজাহান আলী শাহ ও ডাঃ শাহিন শাহ আহত হন এবং একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ফিরোজ সমর্থকরা হামলার চেষ্টা করলে আসাদ সমর্থকরা বাড়ির ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এবং আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।