Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

অসাধু ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়িয়েছে -খাদ্যমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : অকাল বন্যা ও অতিবৃষ্টির সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চালের দম বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের চালের মজুদ একটু আছে এটা ঠিক।  চাল আমদানীর ব্যবস্থা করা হয়েছে, আমদানী শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এক কোটি ৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চাল মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে খাদ্য মন্ত্রণালয় খাতের অনুকূলে বরাদ্দ দাবিকালে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি সংসদে তার মন্ত্রণালয়ে প্রেসিডেন্টের অনুকূলে উন্নয়ন ও অউন্নয়ন ব্যয় নির্বাহকল্পে ১৪ হাজার ৪০০ কোটি ৯ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দের বিরোধীতা করে বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা বলেছেন, বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ এবং রফতানির দেশ হিসেবেও পরিচিত। ১০ টাকা কেজি করে চাল বিক্রির রেকর্ড আমাদের রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে কী হলো মোটা চালের দাম ৫০ টাকা হলো? এটা কেন হলো? মনিটরিংয়ের সু-ব্যবস্থা নেই কেন? সরকার কৃষকদের কাছ থেকে খাদ্য সংগ্রহ করছে তা সঠিকভাবে হচ্ছে না। কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। প্রথমেই সরকার আমদানী কর কমিয়ে দিলে জনগণ এমন দুর্ভোগে পড়তে হতো না। ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ নিতে পারতো না। এতে করে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে অনেক টাকা চলে গেছে। তাই মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।
জবাবে খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, অতিসম্প্রতি চালের দাম বৃদ্ধি কারণেই আমার প্রতি এমন বিষোদগার। দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ন, বিদেশে রফতানি করার সক্ষমতা অর্জন করেছি এটাও ঠিক। আসলে হাওড় অঞ্চল থেকে বোরো ফসলটি আগে আসেনি। কিন্তু আগাম বন্যার কারণে সব বোরো ধান ধ্বংস হয়ে গেছে। অকাল বন্যা ও অতিবৃষ্টির সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চালের দম বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের চালের মজুদ একটু আছে এটা ঠিক। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চাল আমদানীর ব্যবস্থা করা হয়েছে, আমদানী শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোট ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল পাইপ লাইনে রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও চাল আমদানীর চিন্তা-ভাবনা সরকারের রয়েছে। কৃষকরা এবার উৎপাদিত মূল্যে পেয়েছে। হৃতদরিদ্র্যদের আমরা ১০ টাকা কেজি দরে ৫ মাসে দেড়শ’ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আর ভিজিএফের কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় ভিজিএফের মাধ্যমে খাদ্য বিতরণ অব্যাহত থাকবে। খাদ্য আমদানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার খাদ্য মন্ত্রণালয় যে চাল ও গম সংগ্রহ করছে, তার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ থাকবে না। এবার সাড়ে ১২ প্রোটিনের গম আমদানি করা হচ্ছে। এর বাইরে কোন গম আনা হবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাল

১১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ