Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চকরিয়া ও লামায় অবৈধ বালু উত্তোলন অবকাঠামো হুমকির সম্মুখীন

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা: কক্সবাজারের চকরিয়ার ১৩ পয়েন্ট ও পাশ্চবর্তী বান্দরবানের লামা উপজেলার পুলু খাল, হরি খাল ও ডলু খালের কমপক্ষে ২৫টি পয়েন্টসহ ৩৮টি পয়েন্ট থেকে অবৈধ ভাবে সেলু মেশিন দিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। এতে করে খালের দু’পাড় ভেঙ্গে নষ্ট হচ্ছে বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, পাহাড় ও বসতবাড়ি। চকরিয়াসহ পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা ও সরই এলাকার সরকার দলীয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন এই পরিবেশ ধ্বংসের সাথে জড়িত বলে জানায় স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী, ডুলাহাজার, সাফারী পার্ক এলাকা, খুটাখালী, ফুলছড়ি, হারবাং, বরইতলী, লামার চিরিংগা, সাহারবিল, মাইজঘোনা, কৈয়ারবিল, বেতুয়াবাজার ও লামা থানার সরই ইউনিয়নের পুলু, ডলু ও আন্দারী খালের প্রায় ২৫টির অধিক স্থান থেকে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী লোহাগাড়া উপজেলা ও স্থানীয় প্রভাবশালী জনৈক ইদ্রিস কোম্পানী, ইসলাম কোম্পানী, শরিফ মাঝি, ছৈয়দ নুর, ফারুক ড্রাইভার, নওশাদ মিয়া, মোঃ রুবেল এই বালি উত্তোলনের সাথে জড়িত। তাদের পরোক্ষ সহায়তা করছে স্থানীয় প্রশাসন। ব্যাপক বালু তোলার কারণে এলাকার অর্ধশত ব্রিজ, কালভার্ট ও কয়েকটি রাস্তাঘাট বিলীনের পথে। বালু ব্যবসায়ীরা ক্ষমতাবান হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সরই ইউনিয়নের ধুমচা বিল, পুলাং পাড়া, কেয়াবন্যা, হাসনা ভিটা, কিল্লাছডা, ডলুছড়ি বাজার পাড়া, ঝটকি বনিয়া পাড়া, আমতলী মুসলিম পাড়া, কিল্লাখোলা সহ অসংখ্য স্থান থেকে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হরিখালটির মৃত্যু হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ৬ মাস খালটিতে পানি থাকেনা। সরই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ-উল আলম বলেন, বালু তোলা ও পরিবহনের কারণে সরকারের কয়েক কোটি রাস্তাঘাট ও ব্রিজ কালভার্ট ধ্বংস হেয়ে গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ