Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এম ভি একরাম জাহাজটি কেটে বিক্রির চেষ্টা

প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:২৬ পিএম, ২৯ জুন, ২০১৭

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ বন্দরে রক্ষিত চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদী থেকে উদ্ধারকৃত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত এম ভি একরাম জাহাজটি এমপি সেলিম ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে কেটে বিক্রির চেষ্টার সময় পুলিশ জাহাজ কাটা বন্ধ করে দিয়েছে। বন্দরের নূরে আলম ও নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় জসিম মিলে জাহাজটি কাটা শুরু করলে সংবাদ পেয়ে পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহাজ কাটা বন্ধ করে দেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর গোলাবারুদ বহনকারী এম ভি একরাম কার্গো জাহাজটি বীর মুক্তিযোদ্ধারা চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে ডুবিয়ে দেয়। ২০০৮ সালে বন্দরের সোনাকান্দা এলাকার মোক্তার হোসেন ডুবুরী বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক থেকে নিলামে ক্রয় করে ডাকাতিয়া নদী থেকে ১৪/১০/২০০৮ সালে উদ্ধার করে ১৫/১০/২০০৮ সালে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের সোনাকান্দায় শাহেনশাহ’র ডকে এনে রাখে। পরে এ জাহাজটি মুক্তিযদ্ধের স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণের জন্য সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে দাবি উঠলে ২০০৯ সালের ১৭ আগষ্ট মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয় থেকে জাহাজটি সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর পর থেকে জাহাজটি শাহেন শাহর ডকেই রক্ষিত থাকে। গতকাল নূরে আলম ও জসিম নামে দুই ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত এম ভি একরাম জাহাজটি কাটা শুরু করে। এ ঘটনায় ডুবুরী মোক্তার থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নূরে আলম জানান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান জাহাজ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ তাদের কাছ থেকে নির্দেশের কাগজ চাইলে তারা কোন কাগজ দেখাতে পারেনি বিদায় পুলিশ জাহাজ কাটা বন্ধ করে দেয়।
জাহাজটি ১৯৬৫ সালে হলেন্ডে নির্মিত হয়। ১৯/৩/১৯৬৫ সালে জাহাজটি রেজিস্টেশন হয় এম ভি একরাম নামে। ইউনাটেড ট্রেডিং করপোরেশন ও ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ব্যাংক অব পাকিস্তান জাহজটির মালিকানা ছিল। স্বাধীনতার পরে জাহাজটি বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের অধিনে চলে আসে।
এ ব্যপারে বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডর আঃ লতিফ জানান, এম ভি একরাম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি। এটা কাটা বা পরিবর্তন তরা যাবে না। আর মুক্তিযোদ্ধাদের কনো নির্দেশ বা ইচ্ছা নেই জাহাজ কাটার। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে যারা জাহাজ কাটার চেষ্টা করেছে তারা মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেনা। তারা রাজাকার।
এ ব্যপারে বন্দর থানার সেকেন্ড অফিসার দারোগা মোখলেসুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নূরে আলম ও জসিম নামে ২ জনকে জাহাজ কাটার কাজে পাওয়া যায়। তাদের কাছে কোন প্রকার কাগজ পত্র না পেয়ে জাহাজ কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 



 

Show all comments
  • সোহানা ৩০ জুন, ২০১৭, ৩:০৬ এএম says : 0
    এটা ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হোক
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ