Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

টুঙ্গিপাড়ায় বিদ্যুতের শক দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে হত্যার অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : মুক্তিযোদ্ধার কন্যা ময়না বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। ঈদের দিন দুপুরে পাষন্ড স্বামী বৈদ্যুতিক তারের শক দিয়ে ময়নাকে হত্যা করেছে বলে ময়নার ভাই রমজান মিয়া গতকাল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন ঈদের নামাজ পড়ে বাবার কবর জিয়ারতের পরই খবর আসে বোন ময়নাকে হত্যা করা হয়েছে। খবর শুনে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে দেখি বোন ময়না আর নেই। দুই পা বাঁধা অবস্থায় তার নিথর দেহ পড়ে আছে মাটিতে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন। রমজান আরো জানায়, ভাগ্নি রহিমার (৬) সামনেই তার মায়ের পাঁ বেধে বিদ্যুতের তারের শক দিয়ে তার হত্যা করা হয়। গত মঙ্গলবার ময়না তদন্ত শেষে বাদ জোহর গোপালগঞ্জ ঈদগাহ ময়দানে জানাযার নামাজ শেষে মার্কাস মহল্লা পৌর-কবর স্থানে ময়না বেগমের লাশ দাফন করা হয়। ময়না বেগম শহরের মিয়াবাড়ির মরহুম মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়ার কন্যা।
নিহতের ভাই রমজান মিয়া জানান, প্রায় ২০ বছর আগে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গহরডাঙ্গা চৌরঙ্গী এলাকার বশার শেখের সাথে তার বোন ময়না বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন বিভিন্ন ভাবে যৌতুকের নামে টাকা চেয়ে আসছিল। বোনের সুখের কথা ভেবে তাদেরকে বিভিন্ন সময় টাকা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আবারো টাকা চাইলে ময়না টাকা এনে দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ময়নাকে পা বেঁধে ব্যাটারী চালিত রিক্সায় চার্জের কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুতের তার দিয়ে ইলেকট্রিক শক দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। তিনি আরো জানান তার ভগ্নিপতি বশার শেখের বিরুদ্ধে বহু বিবাহ করার অভিযোগ রয়েছে। ময়না বেগম স্বামীর বহু বিবাহে বাধা দেয়ার কারনে তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল স্বামী পাষন্ড বশার শেখ। রমজান মিয়া আরো জানান তার বড় ভাই ইমাম মিয়া বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলেও পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি। টুঙ্গিপাড়ার স্থানীয় একটি প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপের কারণে পুলিশ হত্যা মামলাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে বলে তারা সন্দেহ করছেন ।
টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.কে.এম এনামুল কবীর জানান, লাশটির পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে বলা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী বশার শেখ পলাতক রয়েছে। এখন পর্যন্ত এব্যাপারে কোন মামলা হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ