Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝড়-বৃষ্টিতে নষ্ট ২ হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমির ফসল

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রানীশংকৈলে সরকারি সাহায্য বঞ্চিত ২৪ হাজার মানুষ
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) উপজেলা সংবাদদাতা : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে সর্বনাশী কালবৈশাখী ঝড় আর শীলা বৃষ্টিতে ২ হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমির ফসল ধ্বংস করে ৪ ইউনিয়নে প্রায় ২৪ হাজার মানুষের মুখের আহার কেড়ে নিয়েছে। ঘরবাড়ী, জমির ফসল, বিভিন্ন প্রজাতীর বৃক্ষ ধ্বংস করে দিয়েছে ভয়াবহ ঝড়ে। তারা এখন সর্বশান্ত, অনেক কৃষক বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ধান, ভ‚ট্টা সহ শাকসবজি আবাদ করেছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের আহাজারি আর কান্না দেখা যায়। অনেকে খোলা আকাশের নীচে ঝুপড়ি ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর ভাবে জীবনযাপন করছে। তাদের অভিযোগ একাধিকবার নামের তালিকা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন সরকারী সহায়তার ছোয়া লাগেনি তাদের। জানা গেছে, গত ১৫ মে বিকেলে কালবৈশাখী ঝড়সহ শিলা বৃষ্টিতে উপজেলার ১নং ধর্মগড় ইউনিয়ন এলাকার চেকপোষ্ট, সাহানাবাদ ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিনের উত্তরগাঁও, উজধারী, সিদলী, রামপুর, হাড়িয়ানিয়াপাড়া, ৪নং লেহেম্বা ইউনিয়নে ওমরাডাঙ্গী, বেরাশি, রসুনপুর, বসতপুর, পদমপুর, ৮নং নন্দুয়ার ইউনিয়নের জওগাঁও পশ্চিমপাড়া, মেদনীসাগর, শিংহর, ঘুরনিয়া সহ অন্যান্য এলাকায় ভয়ঙ্কর কালবৈশাখী ঝড়ে সর্বশান্ত হওয়া প্রায় ২৪ হাজার মানুষের সরকার বাহাদুরের নিকট পূনরবাসনের আবেদন। সাংবাদিকদের কাছে স্বাক্ষাতকার দেওয়ার সময় উত্তরগাঁও গ্রামের জব্বার, ধানের ক্ষেতে গিয়ে মাথায় হাত দিয়ে হাওমাও করে কেদে বলে আমি সংস্থায় ঋণনিয়ে ধান, ভূট্টা আবাদ করেছিলাম এখন আমার কি হবে। একদিকে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে অন্যদিকে ঘরবাড়ী সর্বশান্ত, পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় দাড়াবো ? একই গ্রামের জরিনা (৬০), বেরাফুল (৩৫) বলেন, প্রায় এককেজি ওজনের শিলা (পাথর) তাদের ঘরের টিন ফুটা করে তাদের মাথা ফেটে আহত হয়, বেরাশি মমরেজপুর গ্রামের আলম (৩৫), আবু বক্কর সিদ্দীক (৪০) এ সময় তারা মাঠের মধ্যে ছিল। শিলার আঘাতে তারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ইউপি সদস্য আইনুল, আমিরুল, জামাল, বেলাল, নজরুল সাহানাবাদ থেকে হাবিব, পল্লি চিকিৎসক জিয়াউর রহমান এবং হরিপুর উপজেলার মারাধার থেকে আলম, জানান কাল বৈশাখী ঝড়ে এবং শিলা বৃষ্টিতে বাড়ীঘরসহ ফসলির জমির ফসল ধ্বংস হয়েগেছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাঃ নাহিদ হাসান বলেন, ইতো মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ২৫ মেঃ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ত্রান মন্ত্রনালয়ে সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম জানান, দূর্যোগে আক্রান্ত হয়েছে-ধান ১ হাজার ৭৯০ হেক্টর, ভূট্টা-৫৯০ হেক্টর, আউস-৬২০ হেক্টর, সবজি- ৯৮ হেক্টর, কলা-৫হেক্টর ও পাট ২৬৫ হেক্টর জমির ফসল। সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সর্বনাসী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের ফসল মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। কৃষক এক ছটাকও ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। কবে সরকারবাহাদুর তাদের প্রতি সূদৃষ্টি দিবেন। কবে সরকারি সাহায্য সহযোগীতা পাবে এমন দুঃখ প্রকাশ করলেন ক্ষতিগ্রস্তরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ