বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা ব্যুরো : খুলনার খানজাহান আলী (রঃ) ব্রীজ থেকে স্ত্রী ও ১৪ মাসের শিশু সন্তানকে রূপসা নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে রমজান আলী শেখ। ঈদের পরদিন ২৭ জুন দিবাগত রাতের এঘটনার পর থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও কোস্টগার্ডের দু’টি টীম তাদের সন্ধান পায়নি। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশের সূত্র জানান, গত ২৭ জুন রাত ৯টার দিকে খানজাহান আলী সেতুতে বেড়াতে গিয়ে স্ত্রী তৈয়েবা খাতুন (২৫) ও ১৪ মাসের শিশু আব্দুর রহিমকে ব্রীজ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় রমজান আলী। তারা নগরীর খালিশপুরস্থ বঙ্গবাসী স্কুল পাশের এলাকায় বাসায় ভাড়া থাকেন। ঘটনার পরপরই রমজান আলী শেখকে উপস্থিত জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় তার শ্বাশুড়ি বাদী হয়ে রূপসা থানায় হত্যা এবং হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় পারিবারিক কলহের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। রমজান আলী শেখ ফার্নিচারের দোকানের কর্মচারী।
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রমজান আলী শেখ তার স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেননি। তার দাবি, সন্তানকে নিয়ে তার স্ত্রী নিজেই নদীতে লাফিয়ে পড়েছেন। তাকে নেশাগ্রস্ত মনে হচ্ছে। তবে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রকৃত রহস্য বের হবে।
নিকট আত্মীয়, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সুত্র জানান, ঈদের পরদিন গত মঙ্গলবার সকালে বরিশালে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে খালিশপুরের বাসা থেকে বের হয় রমজান আলী শেখ। সারাদিন তারা নগরী ও আশপাশের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে সময় কাটিয়ে বিকেলে খানজাহান আলী সেতুতে যান। রাত পৌনে ৯টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক-বিতান্ডা হয়। একপর্যায়ে স্ত্রীর কাছে থাকা শিশু আব্দুর রহিমকে ছিনিয়ে নিয়ে নদীতে ফেলে দেয় রমজান আলী। এসময় সন্তানকে উদ্ধারের জন্য স্ত্রী তার হাতে-পায়ে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকলে তাকেও নদীতে ফেলে দেয় সে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।