Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ সুধীন দাশ আর নেই

| প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিনোদন রিপোর্ট: বাংলা গানের বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ, স্বরলিপিকার ও নজরুল গবেষক সুধীন দাশ আর নেই। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। কিছুদিন ধরে তার হজমে সমস্যা হচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যান। সেখান থেকে তিনি আর ফিরে আসেননি। তার মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। ১৯৩০ সালে কুমিল্লা শহরের তালপুকুরপাড়ের বাগিচাগাঁওয়ে জন্মেছিলেন সুধীন দাস। কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে ভর্তি হয়েছিলেন ভিক্টোরিয়া কলেজে। ছেলেবেলা থেকে গানের ব্যাপারে দারুণ আগ্রহ ছিল। সংগীতে হাতেখড়ি হয় দাদা সুরেন দাশের কাছে। পাকিস্তান বেতারে ১৯৪৮ সালের ৮ মার্চ দুটি গান গাওয়ার মধ্যদিয়ে বেতারে সুধীন দাশের গান গাওয়া শুরু। বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিক বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকে শ্রোতার কাছে শুদ্ধরূপে পৌঁছে দেয়ার জন্য স্বরলিপি তৈরির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সুদীন দাশ করেছিলেন। সুরগুরো হারিয়েই যাচ্ছিলো। কিন্তু যে সময়টাতে হারিয়ে যাচ্ছিলো সেই সময়টাতে সুধীন দা একাই কাজটি করেছেন নিবিষ্ট মনে। এই স্বরলিপির জন্য তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। কাজী নজরুল ইসলামকে তার যোগ্য আসন ফিরিয়ে দেবার পেছনে সুধীন দাস ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায় রেখে গেছেন শুদ্ধ স্বরলিপিকার হিসেবে। বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস আরা বলেন, ‘বাংলা গানে বিশেষ করে স্বরলিপিকার এবং নজরুল গবেষক হিসেবে তার যে অবদান তা অস্বীকার করার উপায় নেই। ওস্তাদ জি’র আশীবার্দ পেয়েছি আমি এটা আমার জন্য পরম পাওয়া। তার শিক্ষার্থী হিসেবে আমি সবসময় গর্বিত। উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ও সংগীত গবেষক সুধীন দাশ তাঁর জীবনের পুরোটা সময় দিয়েছেন সঙ্গীত সাধনায়। সুর করেছেন, সংগীত পরিচালনা করেছেন সংগীত নিয়ে গবেষণার কাজটিও করে গেছেন। লালনগীতির ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান সর্বজন স্বীকৃত। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নেয়া হবে নজরুল ইন্সটিটিউটে এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে ১১টায় রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। তার অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে পোস্তগোলা শ্মশানে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ