Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চলে গেলেন অভিনেতা নজমুল হুদা বাচ্চু

প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৩ এএম, ২৯ জুন, ২০১৭

অভি মঈনুদ্দীন ঃ চলে গেলেন বরেণ্য অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী নজমুল হুদা বাচ্চু। গতকাল বুধবার ভোর চারটা ১৪ মিনিটে তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহে রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। বাসায় হার্টঅ্যাটাক হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। গতকাল ২৮ জুন বাদ যোহর রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। নজমুল হুদা বাচ্চু চলচ্চিত্র এবং নাটকের কিংবদন্তী অভিনেতা হিসেবে পরিচিত। এর বাইরেও তিনি একজন সঙ্গীত শিল্পী এবং সঙ্গীত পরিচালকও ছিলেন। তবে একজন অভিনেতা হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হবার পর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তবে গানের চেয়ে তখন তিনি বেশি ব্যস্ত হয়ে উঠেন অভিনয়ে। এসএম হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন তিনি। হলের নাটকের নির্দেশনা দেবার পাশাপাশি অভিনয়ও করতেন। ‘ডাকসু’রও অনেক নাটক নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। ছাত্র জীবনেই বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রয়াত প্রযোজক মনিরুল আলমের প্রযোজনায় একটি নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে টিভি নাটকে তার অভিষেক ঘটে। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রযোজনায় নির্মিত ধারাবাহিক নাটক ‘চাচা-ভাতিজা’য় অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। এতে চাচা চরিত্রে বাচ্চু এবং ভাতিজা চরিত্রে টেলিসামাদ অভিনয় করেছিলেন। এরপর তিনি অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রে নজমুল হুদা বাচ্চুর অভিষেক ঘটে একজন প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে। ১৯৬১ সালে মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে প্রয়াত রবিন ঘোষের সুর সঙ্গীতে ‘অভিমান করোনা’ গানটিতে প্রথম কন্ঠ দেন। এরপর তিনি ‘জোয়ার এলো’, ‘চান্দা’, ‘ফির মিলিঙ্গে হাম দোনো’, ‘কার পাপে’সহ বহু চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেন। বাবুল চৌধুরীর নির্দেশনায় তিনি প্রথম ‘আকাঁবাঁকা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৩৮ সালের ১১ জুলাই তিনি মাগুড়া জেলায় জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। তার তিন মেয়ে সানিয়া নাজ, সায়কা নাজ ও সাদিয়া নাজ। বড় মেয়ে সানিয়া’ও গান করেন। নজমুল হুদা বাচ্চু সর্বশেষ তানভীর হোসেন প্রবালের নির্দেশনায় গত বিজয় দিবসে ‘সাদায় লাল রঙ’ নাটকে অভিনয় করেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বেশ কিছু দিন ধরে তিনি ঘরেই সময় কাটাচ্ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ