Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মঠবাড়িয়ায় বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

| প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জমে উঠেছে মঠবাড়িয়ার ঈদ বাজার। শিশু থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের রঙ-বেরঙয়ের বাহারি পোষাকে বিপণী বিতান গুলো যেন অপরুপ সাজে সেজেছে আছে। ক্রেতাদের পদচারণায় এখন মুখতির পৌর শহরসহ পল্লির বিভিন্ন হাট-বাজার। পৌর শহরের বিপনী বিতান গুলোতে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। বৈরী আবহাওয়া মাঝে মাঝে বাধ সাধলেও বাজারে তেমন প্রভাব পরেনি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ভারতীয় পণ্যে বাজার সয়লাব।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বাহারী রঙ্গের পোশাক, মাহিলাদের সূতি ও নেট টিসু শাড়ীর প্রতি আকর্ষণ বেশী ক্রেতাদের। মেয়েদের কাপড়ের মধ্যে ভারতীয় বিনয় থ্রি-পিচ সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ‘সুলতান সুলেমানের’ হুররম ও মেহরিমা পোষাকেরও চাহিদা দেখা গেছে। পোষাকের দোকানগুলোতে পুরোদমে শুরু হয়েছে বেচাকেনা। দম ফেলার সুযোগ নেই দোকানীদের। প্রতিটি দোকানে ক্রেতা সমাগমে বিক্রিতাদের মুখে হাসি। বাহারি ডিজাইনের পোশাক দোকানে তুলেছে ব্যবসায়ীরা। শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতীসহ নানা বয়সী ক্রেতাদের পদভারে মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট, লন্ডন সুপার সপ এন্ড বিউটি পার্লার, কে.এম লতিফ সুপার মার্কেটের এম.এম ফ্যাশন, কাপুড়িয়া পট্টি, লেপপট্টিসহ গোট পৌর শহরে বইছে ঈদের আমেজ। ক্রেতাদের মধ্যে তরুণ, তরুণী ও মহিলারাই বেশী। কেউ কেউ ক্রেতাদের আকর্শন করানোর জন্য ব্যবস্থা করেছেন লাকী কুপনের। অঙ্গণ সপিং সিটির পরিচালক মোঃ মনির জানান, ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে লাকী কুপণ। পাঁচ শ’ টাকার কেনা কাটা করলেই ক্রেতা পাচ্ছেন লাকী কুপণ। যার পুরস্কার ঈদের পরদিন বিতরণ করা হবে। কে.এম লতিফ সুপার মার্কেটের এম.এম. ফ্যাশনের সেলস্ম্যান মোঃ নাছির মিয়া জানান, এবছর বাচ্চাদের জন্য রাখি ও শারারা ড্রেস খুব বেশী বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া যুবতীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে কুর্তি, ক্যাপাটা, গাউন, লেহেংগা ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের থ্রি-পিচ। ক্রেতা সালমান খান রাফি জানান, এবার ভারতীয় পোশাকের দাম বেশী মনে হচ্ছে। তারপরেও ঈদুল ফিতরের উৎসব উপভোগ করতে বেশী দাম দিয়ে পোশাক ক্রয় করতে হয়েছে। এছাড়া উপজেলার পল্লী হাট-বাজার গুলোও এখন ক্রেতাদের পদচারনায় মূখরিত। মিরুখালী বাজারের নূর বস্ত্রালয়ের মালিক হাফেজ মনিরুজ্জামান জানান, ঈদের বেচা-কেনা মোটামুটি ভাল। আবহাওয়া ভাল থাকলে ঈদের আগ পর্যন্ত বাজার জমজমাট থাকবে বলে হাফেজ মনির জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ