Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে স্পিডবোট ও দক্ষিণাঞ্চলের যানবাহনে ভাড়া নৈরাজ্য

ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চরম ভোগান্তি

| প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শিবচর (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : শুক্রবার সকাল থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে লঞ্চে, স্পীডবোটে ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় পরেছে। শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী ও স্পীডবোটগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিমুলীয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শ’ যানবাহন। তবে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া সকল যানবাহনগুলো পাল্লা দিয়ে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। লোকাল বাসগুলো দুরপাল্লায় চলাচল করায় যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। তবে ঘাট ব্যবস্থাপনায় সিভিল প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দিনরাত প্রানন্তকর চেষ্টায় সুশৃঙ্খল পরিস্থিতি রয়েছে।
সরেজমিনে একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণাঞ্চলের স্বল্প দুরত্বের এ রুটে লঞ্চ ও স্পীডবোট হয়ে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নামে। শিমুলীয়া থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চে বাড়তি ভাড়া না নিলেও লোডমার্ক অনুযায়ী অতিরিক্ত বোঝাই করে পাড় হচ্ছে। স্পীডবোটগুলো যাত্রী প্রতি ১২০ টাকার ভাড়া দেড় শ’ থেকে দুইশ’ টাকা নিচ্ছে। পদ্মা নদী পার হয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে যাত্রীরা পড়ছেন চরম বিপাকে। কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া দুরপাল্লা ও আভ্যন্তরীণ সকল যানবাহন পাল্লা দিয়ে দ্বিগুনেরও বেশি ভাড়া আদায় করছে। কাঁঠালবাড়ি থেকে কালনাঘাট এর বাস মাইক্রোবাসগুলো ১শ’ ৫০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ৪শ’ টাকা, খুলনায় ২শ’ টাকার স্থলে নিচ্ছে ৬শ’ টাকা, বরিশালে ২শ’ টাকার স্থলে নিচ্ছে ৪শ’ থেকে ৫ শ’ টাকা। দক্ষিণাঞ্চলগামী বাস-মাইক্রোবাসসহ সকল যানবাহনেই নিচ্ছে অন্তত দ্বিগুন ভাড়া। তবে প্রতিটি বাসের ছাদেই ছিল বোঝাই যাত্রী । লোকাল বাসগুলো আভ্যন্তরীন চলাচল বন্ধ করে দুরপাল্লায় চলাচল করায় স্বল্পদুরত্বের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ইজিবাইক, থ্রী হুইলারসহ অবৈধ যানবাহনগুলোতে চড়ে ৪৫ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা দিয়ে ভাঙ্গা যেতে হচ্ছে লোকাল যাত্রীদের। ভাড়ার ক্ষেত্রে তেমন নজরদারি না থাকলেও ঘাট ব্যবস্থাপনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন কঠোর থাকায় সুশৃঙ্খল পরিস্থিতি রয়েছে।
বিআইডবিøউটিএর কাঁঠালবাড়ি ঘাট পরিবহন পরিদর্শক এবিএস মাহমুদ বলেন, শিমুলীয়া ঘাটে যখন এক সাথে দূরপাল্লার কয়েকটি পরিবহন চলে আসে তখন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও অতিরিক্ত যাত্রী লঞ্চে উঠে পড়ে । এটা দু একটি লঞ্চে ঘটে । তবে তা লোডমার্ক অতিক্রম করে না। তবে আমাদের কঠোর নজরদারী রয়েছে। কোন অবস্থাতেই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেওয়া হবে না। বিআইডবিøউটিসির কাঁঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার আঃ সালাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে ২ টি ফেরি যোগ করে নৌরুটে আমাদের ১৯ টি ফেরি রয়েছে । শিমুলীয়া থেকে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় কাঁঠালবাড়ি থেকে আমরা শূন্য ফেরি পাঠাচ্ছি। আবহাওয়া খারাপ হলে কয়েকটি ফেরিতে পরিবহন পারাপার না করে শুধুমাত্র যাত্রী পারাপার করা হবে। শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, কাঁঠালবাড়ি ঘাটের আইন শৃংখলা বজায় রাখতে ঘাট এলাকায় সিসি টিভি স্থাপন করে সার্বক্ষনিক নজর রাখা হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ