Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে অভিজাত মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা তুঙ্গে

| প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আইয়ুব আলী : বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অভিজাত মার্কেটগুলোতে শেষ মুহূর্তে সরগরম হয়ে উঠেছে ঈদ বাজার। ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাব ও ভারি বর্ষণের কারণে রমযানের শুরুতে ক্রেতা সংকট থাকলেও অভিজাত মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা এখন তুঙ্গে উঠেছে। উপচেপড়া ভিড়ে মার্কেটগুলোতে শিশুসহ পুরুষ ও মহিলা ক্রেতাদের ঠাসাঠাসি অবস্থা। নগরীর সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মার্কেট, আখতারুজ্জামান সেন্টার, আফমি প্লাজা, মিমি সুপার মার্কেট, সানমার ওশান সিটি, ফিনলে, ইউনেস্কো মার্কেট, চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স, ইপিজেড বে-শপিং সেন্টার, ভিআইটি টাওয়ার শপিং মলে এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।
অভিজাত মার্কেটগুলোতে দেশীয় শাড়ির মধ্যে রয়েছে জামদানি, বেনারসি, বুটিকস, রাজশাহী সিল্ক, মীরপুরি কাতান, এফলিক শাড়ি, মসলিন জামদানি, সূতির টাঙ্গাইল শাড়ি এবং টাঙ্গাইল হাফ সিল্ক। ভারতীয় শাড়ির মধ্যে রয়েছে চিনুন সিল্ক, জর্জেট, বিশাল সিল্ক, বিশাল জর্জেট, কাতান শাড়ি এবং ইতালিয়ান ক্র্যাপ সিল্ক শাড়ি। শাড়ির পাশাপাশি থ্রি-পিসের চাহিদাও রয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জামদানি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায়। বালুচরি ১ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায়, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ৮শ’ থেকে ৩ হাজার টাকায়, বেনারসি বুটিকস ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা, মীরপুরি কাতান ১ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা, জর্জেট ৪শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকা, এফলিক ১ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা এবং সূতির শাড়ি ৩শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা। ইন্ডিয়ান জর্জেট ৫শ’ থেকে ৭ হাজার টাকা, চিনুন সিল্ক ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা, লেহেঙ্গা ২ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বুটিকসের বিভিন্ন আইটেম ১৬শ’ থেকে ৪ হাজার টাকা, থ্রি-পিস ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে পাঞ্জাবী ১২শ’ থেকে ৮ হাজার টাকা, শেরওয়ানী ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং কিডস আইটেম ৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
নগরীর ভিআইপি টাওয়ার শপিং মলের ‘রাব্বি শাড়িজ’ এর মালিক নাছিমা বেগম বলেন, রোজার প্রথমদিকে ভারতীয় পণ্যের আধিপত্য থাকলেও এখন দেশীয় ও ভারতীয় পণ্য সমানতালে চলছে। তিনি জানান, ভারতীয় পণ্যের পাশাপাশি দেশীয় মানসম্মত কাপড়ের যথেষ্ট কদর রয়েছে। এদিকে চট্টগ্রামের পুরনো ঐতিহ্য অনুসারে অনেকে চাঁদ রাতে ঈদের কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। তারা চাঁদ রাতের জন্য অপেক্ষা করেন। অভিজাত মার্কেটগুলোতে চাঁদ রাতেও জমবে কেনাকাটা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ