বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রংপুর জেলা সংবাদদাতা : রংপুরের পীরগঞ্জে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যাত্রীদের সকলেই ঈদের ছুটিতে নিজ নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন।
রংপুর হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক বেশ কিছু যাত্রী নিয়ে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। আজ শনিবার সকালে পীরগঞ্জ উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে গিয়ে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হয় এবং আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন। আহতদের দ্রুত পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১০ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে আরও ৫ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। এ সময় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে প্রায় ৩ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আহত যাত্রীরা জানান, বাসের টিকেট না পেয়ে যাত্রীরা ট্রাক যোগেই বাড়ি ফিরছিলেন। তাদের অধিকাংশই গার্মেন্টস শ্রমিক ও দিনমজুর। ট্রাকটি সিরাজগঞ্জ পার হলে চালক তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং তার সহকারীকে (হেলপার)কে গাড়ি চালাতে বলেন। এ সময় তারা প্রতিবাদ করলে চালক না শুনে বলেন, ‘ও ভালো গাড়ি চালায় সমস্যা নাই।’ ‘হেলপার চালানো শুরুর কিছুক্ষণ পরই বেপরোয়া গাড়ি চলতে থাকে। এসময়ও আমরা ড্রাইভারকে নিজে গাড়ি চালাবার অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি শোনেননি। পরে ভোর ৫টার দিকে পীরগঞ্জ এসেই গাড়িটি আকস্মিকভাবে একটি গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এ সময় আহতদের চিৎকারে পাশের বাড়ির বাড়ির সাজেদা বেগম ও তার বাবা সাইফুল ইসলাম ঘটনাটি দেখে প্রথম ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় আধাঘণ্টা পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। সকালে মৃতদের নেয়া হয় পীরগঞ্জের বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির চত্বরে। সেখানে স্বজন ও আশপাশের লোকদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে যায়। কফিনে মোড়ানো লাশের সারি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজন এবং স্থানীয় লোকজন।
রংপুর হাইওয়ে পুলিশের এএসপি ধীরেন্দ্র নাথ সাংবাদিকদের জানান, ‘চালক তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন, গাড়ি চালাচ্ছিলেন হেলপার। তিনি গাড়ি কন্ট্রোল করতে না পারায় একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ১১ জন এবং পীরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও পাঁচ জন মারা যায়। আহতদের মধ্যে ৭ জনের জনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন, জমিলা বেগম (৫৫), ময়না বেগম (৩০), মমিনুল ইসলাম (৩৫), খলিল (২৫), দুলাল (৩০) ও মতিন (২৫)। এদের সবার বাড়ি লালমনিরহাট জেলার কালীগজ্ঞ উপজেলার বুড়িরহাট ও চাপারহাট গ্রামে।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে চার জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন, আলমগীর (২৫), তার শ্যালক দেলোয়ার (২২), চাচাতো ভাই সাদ্দাম (২৩) ও মুনির (২২)। এদের সবার বাড়ি লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট গ্রামে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।