Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শেষ মুহুর্তে কেনাকাটার ধুম জমে উঠেছে গাবতলীর ঈদ বাজার

| প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আল আমিন মন্ডল, গাবতলী (বগুড়া) থেকে : পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর’কে সামনে রেখে শেষ মুহুতে বগুড়া শহর’সহ গাবতলী উপজেলায় কেনাকাঁটার ধুম পড়েছে। ক্রেতাদের সমাগমে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। গ্রাম্যঞ্চলের হাট বাজারের বিপনীবিতান’সহ মার্কেটগুলোতে ঈদ কেনাকাঁটায় ভীড় বাড়ছে। ঈদ-উল-ফিতরের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে দোকানপাট গুলোতে বিক্রি ততই বাড়ছে।
জানা যায়, বগুড়া জেলার সকল মার্কেট’সহ গাবতলী পৌর এলাকায় ও ১১টি ইউনিয়নের মফস্বল এলাকার মার্কেটগুলোতে হাজার হাজার তরুন-তরুনী প্রতিদিন কেনাকাঁটা করছে। অনেকেই পরিবার পরিজনদের জন্য নতুন কাপড়, জুতা, গহনা ও শিশু’দের পোষাক কিনছে। আবার কেউ কেউ ছুটছে শহরের বড় বড় মার্কেটগুলোতে। নি¤œবৃত্ত মানুষ ছুটছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। এই ঈদে পুরুষদের চেয়ে নারীদের ভীড় চোখে পড়ার মত। গতবছরের চেয়ে এবছরে পোষাক ও ঈদ সামগ্রীর দাম বেড়েছে। টেইলার্স গুলোতে অর্ডার নেওয়া ইতিমধ্যে বন্ধ হয়েছে। দর্জিপাড়ায় বাড়ছে কারিগরদের চরম ব্যস্ততা। ফলে নতুন জামা কাপড় তৈরীতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন দর্জিরা। দিনরাঁত কাপড় সেলাই মেশিনে বসে কাজ করছেন তাঁরা। তবে রেডিমেইট পোষাকের চাইতে অনেকের পছন্দ বানোনো (তৈরী করা) কাপড় ব্যবহার করার। ফলে এবছরে দর্জিদের কদর বেড়েছে। রংধনু কালেকশন ও ইউনিক টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স প্রোপাইটার মোঃ আব্দুল মালেক মালু জানান, এবারে ঈদে বেশ অর্ডার পেয়েছি। দম ফেলানোর সময় নাই। ফলে সবচেয়ে বেশী কাজ করতে হচ্ছে কারিগরদের। দিনরাঁত সমানতালে কাজ করছেন তাঁরা। দোকানে নারী-পুরুষদের পাশাপাশি হুজুররা অর্ডার দিয়েছে। তরুন ক্রেতা অহেদুল ইসলাম খোকন জানান, নতুন রেডিমেইট পোষাক কিনেছি। দামটা একটু বেশী। তবুও এ ঈদে নতুন পোষাক চায়। কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী নিপা জানান, এবার ঈদে লং ড্রেস কিনেছি। তবে কসমেটিক্সের পাশাপাশি মেহেদী রং কিনতে হবে। ইউনিক টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স এর কাপড় কাঁটার মাষ্টার উজ্জল হোসেন ও মাহফুজার রহমান এবং রাসেল মাহমুদ জানান, দিনরাঁত কাজ করেও শেষ হচ্ছে না।এ ঈদে সবাই নতুন কাপড় তৈরী করার জন্য অর্ডার দিয়েছে। এখন সময়মত ডেলিভেরি দিতে হবে। ক্রেতা আবু হাসান ও সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম এবং মিঠু আহম্মেদ জানান, দ্রব্যসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কেনাকাটা করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবুও পরিবারে মুখে হাসি ফুটাতে নতুন কাপড়’সহ ঈদ সামগ্রী কিনতে হচ্ছে। গাবতলীর বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মাহবুব জানান, ধনী-গরিব সকলের জন্য ঈদ। এ ঈদের আনন্দ সবাই জেন উপভোগ করতে পারে সে জন্য হতদরিদ্র মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করছি। আশরাফুল গিফট হাউস প্রোপাইটার মোঃ মিঠু জানান, এ ঈদে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। ফলে ব্যস্ত সময় কাঁটাচ্ছি। বিপনী দোকান মালিক মাহবুর, সুলতান, মিজান, পায়েল, লজিক, মানিক ও কসমেটিক্স দোকান মালিক জাকির, রুহুল আমীন জানান, এ ঈদে বিক্রি বেশ ভাল হচ্ছে। ঈদের সময় যতই এগিয়ে আসছে বিক্রি ততই বাড়ছে। ঈদে কিশোর কিশোরী’রা নতুন পোষাক বেশী কিনছে। তবে তরুন’রা বেশী কিনছে পাঞ্জাবী, পায়জামা, র্শাট, টির্শাট, জিন্স প্যান্ট, ফতুয়া। আর তরুনীরা কিনছে মেহেদী রং, থ্রি-পিছ, সালোয়ার কার্মিজ, ওড়না, শাড়ি, কসমেটিক্স, জুতা সেন্ডেল’সহ সকল প্রয়োজনীয় ঈদ সামগ্রী। এছাড়াও পরিবারের প্রধান কর্তাগন কিনছেন লাচ্ছা সেমাই, চিনি, কিসমিস, বাদাম, দুধ, পাউডার, লুডুলস, আতপ চাল ও মসলা সামগ্রী। তবে শেষ মুহুতে ঈদ সাগ্রহী’সহ টুপি ও আঁতর এবং সুরমা দোকানেও বেশ ভীড় জমে উঠেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ