Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাস্টম খোলা রাখলেও কাজে আসেননি কেউ

বেনাপোলে ছুটি বাতিলে এনবিআরের নির্দেশনা অকার্যকর

| প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা শেষ পর্যন্ত কার্যকর হলো না। চলতি মাসে সরকারী ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারসহ ঈদের ছুটি বাতিল করে বেনাপোল কাস্টম হাউস খোলা রাখলেও বন্দর ব্যবহারকারীরা কেউ ছুটির দিনে কাজে আসেনি। ফলে রাজস্ব বোর্ডের এই নির্দেশনা কোন কাজে আসেনি।
শবে কদর, সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদুল ফিতরের ছুটি উপলক্ষে সব ধরনের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে বেনাপোলে। সিএন্ড এফ এজেন্ট , ট্রানসপোর্ট সহ কোনো আমদানিকারক পণ্য ছাড় করাতে আসেনি বন্দর থেকে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ২২ জুন বিকেলে থেকে বন্ধ হয়ে গেছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। কাস্টমস ও বন্দর খোলা রাখলেও বন্দর ব্যবহারকারীরা কাজ না করায় কোনো লাভ হচ্ছে না সরকারী এই অফিস গুলো খোলা রেখে। তারপর সরকার মহাসড়কে ঈদের তিন দিন আগে পরে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ রাখায় বন্দর থেকে কোনো পণ্য খালাসও হচ্ছে না। অনেক আমদানিকারক ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের বাড়িতে যাবেন। তারা ঢাকা ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনো পণ্যও খালাস নেবেন না।
এদিকে সীমান্তের ওপারে ভারতের অংশে হাজার হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে আছে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায়। দুই পাশের ট্রাকজট টানা দীর্ঘ ছুটির কারণে আরো বড় আকার হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভারতের পেট্রাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, ‘স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দরের ট্রাকটারমিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁ টারমিনালে পণ্যবোঝাই কয়েক হাজার ট্রাক বেনাপোলে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে। পণ্যবাহী এসব ট্রাক পেট্রাপোল থেকে বেনাপোল বন্দরে ঢুকবে ছুটি শেষে। এতে পেট্রাপোল বন্দরসহ বেনাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র পন্যজট ও যানজটের সৃষ্টি হবে।’
বেনাপোল কাস্টম হাউজের ডেপুটি কমিশনার মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘এবার ঈদে আমাদের কাস্টম হাউসে ছুটি বাতিল করা হয়েছে। শুধুমাত্র ঈদের দিন ছুটি থাকছে। কিন্তু কাস্টম হাউস খোলা রাখলেও কোনো আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কাজ না করায় অফিস খোলা রেখে আমাদের অলস সময় কাটাতে হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ২২ জুন বিকেল থেকে ঈদের ছুটি হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঈদের দিন বাদে প্রতিদিন বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। কেউ পণ্য ডেলিভারি নিতে চাইলে অবশ্যই দেওয়া হবে। তবে ঈদের আগে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় কেউ পণ্য খালাশ করবে না বলে মনে হচ্ছে। এছাড়া সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা তো কাজ করছে না।’
এদিকে বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর শরীফ জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক রয়েছে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত। ঈদে খুব বেশী ভিড় হয়ে থাকে এখানে সে কারণে ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেরই ছুটি বাতিল করে কাজে যোগদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েে ছ।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পণ্যবোঝাই ৩০০-৩৫০ ট্রাক আমদানি হয় ভারত থেকে। আর বাংলাদেশ থেকে ২০০-২৫০ ট্রাক পণ্য রফতানি হয় ভারতে। একটানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর ২৮ জুন আমদানি-রপ্তানি চালু হলে বেনাপোল বন্দরে সৃষ্টি হবে ভয়াবহ পণ্যজট।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ