পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719618729](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পঞ্চায়েত হাবিব : বাজেট অধিবেশন চলছে। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংসদে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে এতো তর্ক-বিতর্ক সমালোচনা অতীতে দেখা যায়নি। ২৮ জুন পর্যন্ত বাজেট অধিবেশন মূলতবি করা হয়েছে। এই বাজেট অধিবেশনের কারণেই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীরা ঈদ করতে দেশের বাইরে যেতে পারছেন না। প্রায় সব মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী উপমন্ত্রীকে দেশেই ঈদ করতে হচ্ছে। অথচ প্রশাসনের পাঁচ শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বিদেশে ঈদ করতে যাচ্ছেন। প্রচুর অর্থবৃত্তের মালিক ওই কর্মকর্তারা বিদেশেই ঈদের আনন্দ করবেন। তারা থাইল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ভারত, ভুটান, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশে ঈদ পালন করতে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে। আগামী ২৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পাস হচ্ছে। বাজেটকে সামনে রেখে সরকারের অনেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এবার ঈদে পালন করবে দেশের বাহিরে না গেলেও প্রশাসনে অনেক কর্মকর্তা দেশের বাইরে ঈদ পালন করতে গেছেন বলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়. শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অধীন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের মধ্যে বিদেশ যাত্রার হিড়িক পড়ে এবার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রতিবছর ঈদের সময় জনপ্রশাসন মন্ত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে বিদেশে যান কিন্তু আগামী ২৯ জুন সরকারের বাজেট পাস হওয়ার কারণে তিনি যাচ্ছেন না বলে তার একান্ত সচিব এ তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ঈদ করতে বিদেশে যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
ঈদের ছুটি কাটাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, উপসচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব এবং সহকারী সচিবসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী দেশের বাইরে ঈদ করতে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ ঈদের একদিন আগে আজ ও কাল রবিবার দেশ ছাড়বেন। উদ্দেশ্য বিদেশের মাটিতে পরিবার নিয়ে ঈদ করা। আবার কোনো কোনো কর্মকর্তা ঈদের দুই থেকে তিনদিন পর বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদে কর্মকর্তারা সবচেয়ে বেশি যাচ্ছেন থাইল্যান্ড,লন্ডন, ভারত, ভুটান, নেপাল, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ আরো কয়েকটি দেশে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন কোনো কোনো কর্মকর্তা অনেকই আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব, উপ-সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী সচিব পদমর্যাদার দুইশতাধিক কর্মকর্তা এবার ঈদের ছুটিতে বিদেশে যাচ্ছেন। বেশির ভাগ কর্মকর্তাই বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি নিয়ে বিদেশে যাচ্ছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওএসডি এক কর্মকর্তা ইনকিলাবকে জানান, আমি দীঘ ১১ বছর থেকে পদোন্নতি পাই না এবং বসার জায়গা পাই না তাই এবার দেশের বাহিরে যাচ্ছি। তার পরও ঈদ এলেই কর্মকর্তারা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য উদগ্রীব থাকেন। এছাড়া ধর্মীয় ও দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করতেও অনেকে ছুটে যান। কয়েকটি শাখা থেকে বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি প্রসেস করা হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্মকতাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তারপরও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলে ৩০ থেকে ৪০ জন প্রকৌশলী ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে থাকছেন। অনেকে ঈদের ছুটির পর পরই বিদেশ যাত্রার সরকারি আদেশ জারি করা হয়েছে। ঢাকা ওয়াসা’র একটি বড় গ্রæপ জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ইউরোপে যাচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব ও উপসচিব এবং সিনিয়র সহকারী সচিবসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে যাচ্ছেন। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন দেশ থেকে আমন্ত্রণপত্র সংগ্রহ করে ছুটি নিচ্ছেন। বেশির ভাগ কর্মকর্তার ছুটির প্রক্রিয়া শেষে সরকারি আদেশ জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক কর্মকর্তা দেশের বাইরে গেছেন। কোনো কোনো কর্মকর্তা দেশের বাইরে গিয়ে ঈদের ছুটি কাটানোর প্রস্তুতি শেষ করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সরকারি কলেজের প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক বা অধ্যাপকদের মধ্যে প্রায় এক শতাধিক শিক্ষক ঈদের ছুটিতে বিদেশে যাচ্ছেন। বিদেশ ছুটি সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট শাখায় ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এসব ক্যাডার পদে কর্মকর্তাদের বাইরে খাদ্য অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক),পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (ডিসিসি) অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা ঈদের ছুটি দেশের বাইরে কাটাবেন। এসব দপ্তরেও সরকারি কর্মকর্তাদের অফিস ছুটির আদেশ জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের বিদেশ যাত্রার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ডাক্তারদের মধ্যে অনেকেই ভারতের ধর্মীয় স্থান আজমীর ও দর্শনীয় স্থান আগ্রাসহ আরো কয়েকটি স্থানে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। আবেদনে তারা বলেছেন, ঈদের ছুটিতে ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পরিদর্শনে যেতে চাই। এজন্য বহিঃ বাংলাদেশ ছুটির আবেদন করছি। গত কয়েক দিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রায় ৩০টি সরকারি আদেশ জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ডাক্তারদের ছুটি দেয় এমন একটি শাখায় গত বৃহস্পতিবার শেষ কাযদিবসে গিয়ে দেখা গেছে, ওই শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের চাপ। মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপকরা এবার ঈদের ছুটিতে সবচেয়ে বেশি দেশের বাইরে যাচ্ছেন। তারা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও নিজের খরচে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করছেন। এ সপ্তাহেই সপ্তাহে বিদেশ যাত্রা সংক্রান্ত বেশির ভাগ সরকারি আদেশ জারি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।