বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস : সিটিএমএস বাস্তবায়ন ঢিমেতালে : স্বার্থ শিকারি চক্রের বাধা-বিপত্তি ব্যবহারকারীদের গড়িমসি
শফিউল আলম : দুর্নীতি-অনিয়ম, হয়রানি, আমলাতান্ত্রিক বেড়াজালসহ পদে পদে জটিলতা। এই অচলায়তন ভেঙে যেন বেরিয়ে আসতে পারছে না চট্টগ্রাম বন্দর এবং সমুদ্র বন্দরভিত্তিক দেশের একক বৃহৎ রাজস্ব আহরণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। জাতীয় অর্থনীতির হৃদপিন্ড হিসেবে বিবেচিত উভয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি-অনিয়ম, হয়রানি কমানোর অন্যতম উপায় এবং ‘কারিগরি প্রযুক্তিগত’ একমাত্র মোক্ষম বাহন হতে পারে অটোমেশন ব্যবস্থাপনা। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বন্দর-শিপিং সার্কেলের বিশেষজ্ঞদের জোরদার তাগিদ, পরামর্শ এ নিয়ে দীর্ঘদিনের। প্রায় ৬ বছর যাবত চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিটিএমএস) বাস্তবায়ন কাজ চলছে। তবে তা এগুচ্ছে অনেকটা ঢিমেতালে। তাছাড়া বন্দরের সাথে কাস্টমস কার্যক্রম নিবিড়ভাবে জড়িত হলেও কাজেকর্মে সমন্বয়ের অভাব প্রকট। বিগত ২০০৭ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে সাবেক নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) এম এ মতিন বীর প্রতীকের প্রত্যক্ষ তদারকিতে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম এবং কাস্টম হাউসে পরিচালিত যুগান্তকারী সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় উভয় প্রতিষ্ঠানে অটোমেশন বা অনলাইন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সর্বপ্রথম শুরু করা হয়। কিন্তু দুর্নীতিবাজ স্বার্থ শিকারি চক্রের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ বিভিন্নমুখী বাধা-বিপত্তি, বন্দর ব্যবহারকারী একাংশের গড়িমসি, অদক্ষতা ও অবহলোর কারণে সিটিএমএস অটোমেশন পূর্নাঙ্গ রূপ কবে পাবে তা অনিশ্চিত। অথচ বন্দর বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছিলেন, সিটিএমএস অটোমেশন হলে বন্দরে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা সাশ্রয়ের পাশাপাশি বন্দর-কাস্টমসের ‘প্রথাগত’ অর্থাৎ ‘নিয়মে’ পরিণত হওয়া দুর্নীতি, অনিয়ম, ঘুষ-বকশিশ, কথিত স্পিডমানির লেনদেন অনেকাংশে হ্রাস পাবে। ফিরে আসবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কালচার। আর বহির্বিশ্বে বিশেষত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বেড়ে যাবে বন্দরের সুনাম।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর গবেষণা ও অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, অটোমেশন প্রযুক্তি চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসে দুর্নীতি অনিয়ম হ্রাসে বেশ সহায়ক হতে পারে। বন্দর, কাস্টম হাউজের বিভিন্ন কার্যক্রমে এখনও কাগুজে পদ্ধতি চালু থাকায় স্তরে স্তরে অবৈধ অর্থ লেনদেন চলছে, যা ওপেন সিক্রেট। চট্টগ্রাম কাস্টমসে অটোমেশন চালুর পাশাপাশি ম্যানুয়াল পদ্ধতিও বজায় থাকায় অবৈধ অর্থ তথা ঘুষ-বকশিশ স্পিমানি আদায়ের সুযোগ অবারিত থেকেই যাচ্ছে। শুল্কায়ন ও পণ্য ছাড় করানোর সাথে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে অনলাইন সুবিধার আওতায় আনা হলে দুর্নীতির অবৈধ লেনদেন অনেকাংশে বন্ধ হতে পারে।
দুর্নীতি অনিয়ম রোধে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউসের আমদানি-রফতানি সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পূর্ণ অনলাইনে পরিচালনা এবং অটোমেশন পদ্ধতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নসহ ৯ দফা সুপারিশ করে টিআইবি। সুপারিশমালায় রয়েছে, বন্দরে সিটিএমএস’র পূর্ণাঙ্গ ও কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব মডিউল তৈরি ও ব্যবহার, বন্দরের অভ্যন্তরে কন্টেইনার খুলে (আন-স্টাফিং) পণ্যসামগ্রীর ডেলিভারি পরিবহন বন্ধ করা, স্বাধীন, নিরপেক্ষ তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে নিয়মিত বন্দর ও কাস্টম হাউসের কর্মদক্ষতা ও অটোমেশনের কার্যকরতার সূচক পরিমাপে ‘পারফরমেন্স ইভ্যালুয়েশন’ করা, কাস্টম হাউস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, নিয়ম বহির্ভূত অর্থ আদায় সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া, কাস্টম হাউজ ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নৈতিক আচরণ বিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং বছরে একবার সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব ও বিবরণ প্রকাশ করা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত এসব বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
কিছু সুফল কিছু সমস্যা
অবশ্য টিআইবি’র গবেষণা ও পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মনজুর-ই-খোদা ও জুলিয়েট রোজেটি কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদন ও সুপারিশমালায় জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অটোমেশন পদ্ধতির আংশিক বাস্তবায়নের ফলে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এসেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে অটোমেশন বা সিটিএমএস প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমানে ইন্টারনেট কিংবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টার্মিনালের বিভিন্ন ইয়ার্ডে কন্টেইনারের অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে। ওয়েব নির্ভর অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সংস্করণের ফলে যে কোনো স্থান থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিল-অফ-এন্ট্রি ও বিল-অফ-এক্সপোর্ট ফরমে তথ্য দেয়ার সুবিধা, অনলাইনে ইমপোর্ট জেনারেল ম্যানিফেস্ট (আইজিএম) দাখিলের পর বিল-অফ-এন্ট্রি ফরম পূরণ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেজিস্ট্রেশন নম্বর তৈরি করা, অনলাইনে বিল-অফ-এন্ট্রি ফরম পূরণের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পণ্যের এইচএস কোড অনুযায়ী শুল্ক নির্ধারণ, নির্ধারিত হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শুল্ক পরিশোধের ব্যবস্থা এবং বন্দরে ইন্টারনেট বা মোবাইলের মাধ্যমে টার্মিনালের বিভিন্ন ইয়ার্ডে কন্টেইনারের অবস্থান সম্পর্কিত ইত্যাদি তথ্য-উপাত্ত আপডেট সহজেই জানা সম্ভব হচ্ছে। যদিও উভয় প্রতিষ্ঠানে অটোমেশন আংশিক বাস্তবায়ন করা হলেও প্রায়োগিক সফলতা নিয়ে বন্দর ব্যবহারকারী ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে অসন্তুষ্টি এবং বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়ে গেছে। অটোমেশন বাস্তবায়নের কিছু ইতিবাচক প্রভাব থাকলেও এক্ষেত্রে প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের কার্যকর সফলতা তেমন আসেনি। কাস্টম হাউসে অটোমেশনের মাধ্যমে কাগজবিহীন অফিস প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হলেও এখন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে ম্যানুয়াল স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা রয়েই গেছে।
টিআইবির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কমার্শিয়াল পণ্যের শুল্কমূল্য পরিশোধ চালু না হওয়া, কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত সহায়তাকারী হিসেবে অবৈধভাবে ৬০ থেকে ৭০ জন ব্যক্তির নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ, বন্দরে সংশ্লিষ্ট সব ব্যবহারকারীর আগ্রহ ও আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব, ইয়ার্ডে কন্টেইনার স্ট্রিপিং বন্ধ করা, বন্দরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাহিদা অনুসারে কন্টেইনার টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিটিএমএস) প্রয়োজনীয় মডিউলগুলো তাদেরকে সরবরাহ না করা বা ব্যবহারের নির্দেশনা না দেয়া ইত্যাদি সীমাবদ্ধতা কাটানো যায়নি। অবৈধ লেনদেনের সুযোগকে অটোমেশন বাস্তবায়নে অনীহা ও প্রতিবন্ধকতার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে টিআইবি বলেছে, যারা অনিয়মের সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউসে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি।
সিটিএমএস চালু যেভাবেÑ
প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় এবং ব্যাপক সময় অপচয়রোধের প্রতিশ্রæতি দিয়ে ৬ বছর পূর্বে চট্টগ্রাম বন্দরে সিটিএমএস ব্যবস্থাপনা চালু হয়। তবে স্বয়ংক্রিয় এ অত্যাধুনিক ব্যবস্থায় জাহাজ ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম অর্থাৎ কন্টেইনার টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিটিএমএস) পদ্ধতি এখনও পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করেনি। অটোমেশন পদ্ধতি বাস্তবায়নের পর নানাবিধ সমস্যার মধ্যদিয়ে তা এগিয়ে চলেছে। সিটিএমএস অটোমেশন বা ডিজিটাল পদ্ধতি সফল ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এবং বন্দর ব্যবহারকারী তথা স্টেক হোল্ডারদের পর্যাপ্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবলের অভাব রয়ে গেছে।
বন্দরে জাহাজবহর বিশেষত কন্টেইনার ফিডার জাহাজের নিয়মিত আসা-যাওয়া, কন্টেইনারের অবস্থান, জাহাজেবাহিত পণ্যসামগ্রীর বিবরণ, বিল দাখিল ও পরিশোধ ইত্যাদি কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল অটোমেশন পদ্ধতিতে পরিচালনার জন্য বিগত নভেম্বর’১১ইং থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে সিটিএমএস কার্যক্রম শুরু হয়। এর প্রচলনের কারণে বন্দরের বহুল আলোচিত ‘টেবিলে টেবিলে ২০ থেকে ২৪টি স্বাক্ষরে’র ঝামেলার আপাত অবসান হয়। বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন ট্রেড বডি ও প্রতিষ্ঠান সিটিএমএস’র আওতায় চলে এসেছে। যদিও পরিপূর্ণ সক্ষমতা লাভ করেনি।
সিটিএমএস প্রবর্তনের আগে বন্দর ব্যবহারকারীদের মনোনীত প্রতিনিধিদেরকে ধারাবাহিকভাবে হাতেকলমে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। সিটিএমএস’র স্বয়ংক্রিয় অটোমেশন ব্যবস্থাপনায় বন্দর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, দক্ষতা, গতি ও সেবার মান উন্নত করা এবং সময় ও আর্থিক অপচয় অনেকাংশে হ্রাসের টার্গেট রাখা হয়। এর ফলে বন্দরের ধারণক্ষমতা ৫০ ভাগ বৃদ্ধিসহ বন্দর সক্ষমতা বৃদ্ধিরও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় পোর্ট-শিপিং, কাস্টমস সার্কেলে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৩শ’ বন্দরে সিটিএমএস পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে।
বন্দর-শিপিং মহল জানায়, সিটিএমএস অটোমেশন পদ্ধতি পুরোদমে কার্যকর করা সম্ভব হলে বন্দরে জাহাজ থেকে কন্টেইনার লোডিং, আনলোডিং, ইয়ার্ডে কন্টেইনার স্থানান্তর, ট্র্যাকিং, ডেলিভারি পরিবহন, গেট কন্ট্রোলসহ সকল বন্দর কার্যক্রম অনলাইনে বা অটোমেশনে সম্পন্ন হবে। সকল চার্জ ফি মাশুল ডিউজ পরিশোধ, তথ্য-উপাত্তসহ বন্দর অপারেশনাল কার্যক্রম অনলাইন নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। এরফলে আমদানি-রফতানি সহায়ক হয়ে উঠবে স্বয়ংক্রিয় সিটিএমএস পদ্ধতি। দেশি-বিদেশি আইটি ও পোর্ট-অটোমেশন বিশেষজ্ঞরা সিটিএমএস’র কারিগরি বিন্যাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এর প্রায়োগিক দিক, কার্যকারিতা ও অগ্রগতি আগেই তদারক করছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর সিটিএমএস অটোমেশন কার্যক্রমে কারিগরি প্রযুক্তি বিন্যাস করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক, উত্তর আমেরিকা এবং দেশীয় খ্যাতনামা আইটি ও বন্দর-অটোমেশন বিশেষজ্ঞদল ও কারিগরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে সিটিএমএস প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে সিটিএমএস অপারেশন পরবর্তী আরও ৫ বছর প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ পরিচালন কাজে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারিত রয়েছে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক এসটি ইলেকট্রনিক্স, নেভিস এবং কানাডীয় ও দেশীয় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি সরবরাহকারী নামিদামি আইটি, বন্দর-অটোমেশনে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বিতভাবে এ প্রকল্পে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ চালিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে ২০১১ সালের মার্চে নির্বাচিত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যাদেশ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
কন্টেইনার টার্মিনাল ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন পদ্ধতি সিটিএমএস’র আওতায় চট্টগ্রাম বন্দরের ১১টি কন্টেইনার জেটি-বার্থ অনলাইনে পরিচালিত হচ্ছে। এরমধ্যে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) তিনটি, এমপিবি-সিসিটি’তে দু’টি এবং জেনারেল কার্গো বার্থের (জিসিবি) ৬টি। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বার্ষিক সাড়ে ২৩ লাখ টিইইউএস কন্টেইনার আমদানি-রফতানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ও ডেলিভারি ব্যবস্থাপনা হচ্ছে। বন্দরের ১৭টি জেটিতে কন্টেইনার ফিডার জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হচ্ছে এ পদ্ধতিতে। বেসরকারি কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলোকেও (আইসিডি) অটোমেশনের সাথে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। বন্দর-শিপিং সংশ্লিষ্ট সবক’টি প্রতিষ্ঠান বা বন্দর ব্যবহারকারীদের একযোগে সিটিএমএস’র আওতায় আনা হলে চট্টগ্রাম বন্দরের গতিশীলতা বাড়বে এমনটি আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।