Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ময়মনসিংহে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণ : বিল্ডিং কোড না মানায় মুক্তিযোদ্ধার ভবনে ধস

হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা ও পৌর কর্তৃপক্ষের নোটিশের কর্ণপাত নেই

| প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ময়মনসিংহ ব্যুরো : ময়মনসিংহ বিভাগীয় নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিলা স্কুল মোড় এলাকায় বহুল আলোচিত সীতারাম ওয়েল মিলের জায়গায় এবার বহুতল ভবন নির্মান করছেন এক প্রভাবশালী। জমির মালিকানা দ্ব›দ্ব নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা ও পৌর কর্তৃপক্ষের কয়েক দফা নোটিশ উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে চলছে নির্মান কাজ।
অভিযোগ উঠেছে, বিল্ডিং কোড অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মানের কারনে ধসে পড়ছে পার্শ্ববর্তী এক মুক্তিযোদ্ধার বসত ভবন। ক্ষতিগ্রস্থ মুক্তিযোদ্ধা এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে দফায় দফায় পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগে করে সর্বশেষ উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেও হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা মানছেন না প্রভাবশালী ফেরদৌস আহাম্মেদ স্বপন।
ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা শফি জানান, নীতিমালা না মেনে ভবন নির্মান করায় আমার ভবনে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। এখন পরিবার নিয়ে প্রতিনিয়ত আতংকের মধ্যে দিন-যাপন করছি। অথচ প্রভাবশালী স্বপন আইন-আদালতের কোন আদেশই মানছেন না। অপর ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, নির্মানাধীন ভবনের ১৫শতাংশ ভূমি সহ এক দশমিক চার এক ভূমি ক্রয় সূত্রে মালিক কামরুজ্জামান গং। ২০১০ সালে এনিয়ে আদালতে দায়ের করা বাটোয়ারা মামলা আদালতে বিচারাধীণ থাকলেও প্রভাবশালী স্বপন দাপট খাটিয়ে ওই জমিতে জোরপূর্বক বহুতল ভবন নির্মান করছে। পরবর্তীতে এনিয়ে রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট নির্মান কাজে ৬ মাসের স্থিতাবস্থা জারী করলেও প্রকাশ্যে নির্মান কাজ করছেন স্বপন।
আইনজীবী সূত্র জানায়, হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা উপেক্ষার প্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ২৫/১৬ মিস আপীলমূলে নির্মান কাজ বন্ধ আছে কিনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিশন গঠন করে আদালত। বিগত ১৩ ফেব্রæয়ারী ওই তদন্ত কমিশন সরেজমিনে ঘটনা তদন্ত করতে আসলে পরিকল্পিত ভাবে নির্মান কাজ বন্ধ রাখা হয়। বেজমেন্ট নির্মানকালে তদন্ত কমিশন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও বর্তমানে ভবনের দোতলার নির্মান কাজ চলছে। কিন্তু প্রভাব বিস্তার করে স্বপন কমিশনের প্রতিবেদন নিজের পক্ষে নিলেও প্রমান পূর্বক ভুক্তভোগীদের নারাজী আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ওই প্রতিবেদন বাতিল করা হয় বলে দাবী ভুক্তভোগীদের।
ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম জানান, হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় আদালতে নালিশী আবেদন দাখিল করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান খান জানান, আমার ক্রয়কৃত জমিতে জোরপূর্বক বহুতল ভবন নির্মান করছে স্বপন। এনিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে এবং হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা রয়েছে। অথচ আইন-আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে জোরপূর্বক নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সংশ্লিষ্টরা কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় আমি ন্যায় বিচার নিয়ে শংকিত।
এবিষয়ে যোগাযোগ করেও ফেরদৌস আহাম্মেদ স্বপনের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে ময়মনসিংহ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্মান কাজ স্থগিত রেখে নক্সা পৌরসভায় জমা দিলে বলা হলেও নোটিশ উপেক্ষিত হয়েছে। তাই দ্রুত স্থানীয় সরকার (পৌর) আইন ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ