Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদ সামগ্রী কেনাকাটায় ধুম মাদারীপুরে দম ফেলার ফুরসত নেই বিক্রেতাদের

| প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : মুসলমানদের প্রধান ২টি ধর্মীয় উৎসবের ১টি ঈদ-উল-ফিতর। আর মাত্র কদিন বাকি ঈদের। ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে মানুষের ঈদের সামগ্রী কেনাকাটায় ধুম পড়েছে বিপণী বিতান ও প্রসাধন সামগ্রীর দোকানগুলো। বাহারি রঙের পোশাক সাজিয়ে বিক্রি করছেন দোকানিরা। আর সব শ্রেণির মানুষ ছুটছে ঈদের পোশাক কিনতে। মাদারীপুর শহরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পুরানবাজারের বিপণী বিতানগুলোতে চলছে ঈদের পোশাক কেনাকাটার উৎসব। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত শহরের আমিন সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, হাওলাদার মার্কেট, বিথি মিনি বাজার, সিটি মার্কেটসহ প্রতিটি বিপণী বিতান। ছেলেদের পছন্দ ফেসবুক, বাহুবলি, এইচডি, ককটেল, পুমা নামের জিন্স প্যান্ট ও শার্ট-পাঞ্জাবি। আর মেয়েদের ঝোঁক শারা, ইশিতাসহ ভারতীয় টিভি চ্যানেল সিরিয়ালের বিভিন্ন নামের মার্কেটে আসা পোশাকের দিকে। বাচ্চাদের পোশাকেও রয়েছে নতুনত্ব। ছেলেদের পোশাক তৈরির দর্জির দোকানে দম ফেলার সুযোগ নেই কর্মচারীদের। সারাক্ষণ কাজে ব্যস্ত তারা। অনেকে দোকানে কাজের চাপে অর্ডার ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েকবছর ভারতীয় সিরিয়ালের নামের ও অনুকরণে তৈরি পোশাক বেশি চলছে। এবার তার প্রভাব আগের চেয়ে অনেক বেশি। মাদারীপুর সদর উপজেলার পুর্বখাগদী গ্রামের গৃহবধূ ক্রেতা লিমা আকতার মনি বলেন, ‘শহরের দোকানগুলোতে প্রায় ৬ ঘণ্টা ঘুরে পছন্দের সব জিনিসপত্র কিনেছি। ঈদ এলেই কেনাকাটায় ব্যস্ততায় বেড়ে যায়। পছন্দের সবকিছু পেয়ে আমি খুবই খুশি।’ শহরের পুরান বাজারের বিথি শপিং সেন্টারের স্বত্ত¡াধিকারী সোহেল রানা জানান, ‘ভারতীয় চ্যানেলকে প্রাধান্য দিয়েই ক্রেতারা তাদের পছন্দের পোশাক কিনছেন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলা শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও বরিশালের বেশকিছু ঈদের কেনাকাটা করতে মাদারীপুরে আসছেন। বর্তমানে জমজমাট হয়ে উঠেছে ঈদ বাজার।’ কাজীরমোড়ের ডিএম ট্রেইলারের পরিচালক আবদুর রহিম জানান, ‘দর্জি পাড়ায় এখন দম ফেলার সুযোগ নেই। শ্রমিকেরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ