পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশে রাঙ্গামাটি যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করারও নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক।
গতকাল (বুধবার) সকালে এনামুল হক বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইন ২০০২ (সংশোধিত ২০১৪) এর ৪ ও ৫ ধারায় মামলা দায়েরের পর চট্টগ্রামের অতিরিক্তি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সার বাদির বক্তব্য শোনেন। বিকেলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বাদি অ্যাডভোকেট এনামুল হক। মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে ২৬ জনের নাম দেওয়া হয়েছে তারা সবাই রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান বাদী এনামুল হক।
এরা হলেন- মো. সরওয়ার, নাজিমুদ্দিন বাদশা, রাসেল, মহসীন, জাহেদ, আলমগীর, নঈমুল ইসলাম, শিমুল গুপ্ত, পাভেল বড়ুয়া, মো. জাহেদ, ইকবাল হোসেন বাবলু, নাহিম, মো. ইউনুস, শামসুজ্জোহা সিকদার আরজু, আবু তৈয়ব, এনামুল হক, রাসেল, সাইফুল, মাহাবুব, আনোয়ার, নেসার উল্লাহ, বেলাল, মুজাহিদ, বাপ্পা, মো. হারুন, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা। মামলার বাদী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক ইনকিলাবকে বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে এবং বিএনপিকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলার উদ্দেশ্য ছিল বিএনপি নেতাদের প্রাণনাশ করা। এ হামলা পূর্বপরিকল্পিত। হামলাকারীরা সবাই চিহ্নিত অপরাধী। এ বিষয়ে আদালত বক্তব্য শুনে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত রাঙ্গামাটিতে দুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে যাওয়ার পথে বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির নেতৃত্বে থাকা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে রোববার এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ৬ নেতা আহত হন। বিএনপির পক্ষ থেকে এ হামলার জন্য সরাসরি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডারদের দায়ী করা হয়। হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ হওয়ার পর তাদের পরিচয় আরও নিশ্চিত হওয়া যায়। ঘটনার ৪দিন পার হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।
বিএনপি নেতাদের গাড়িতে হামলা ‘ঠিক হয়নি’ মন্তব্য করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পুলিশের আইজিও হামলার ঘটনা তদন্ত করতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।