পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : গণধর্ষণ, হত্যাসহ সকল ধরনের নিকৃষ্ট বর্র্বরতম অত্যাচার দশকের পর দশক ধরে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর অব্যাহত থাকায় প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম নরনারী বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয় গত বছর রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু এর সংখ্যা আরো অন্তত ৩০ হাজার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবসে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু‘ বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচআরসি বলছে, গত বছর এ ছিল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯০ হাজার ৩০০, যা গত বছর চেয়ে ৩০ হাজার বেশী।
এ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ, যার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২০০ এবং তাদের মধ্যে ২ লাখ ৪৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে ক্যাম্পে বাস করছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, দেশটিতে জাতিগত দাঙ্গা ও একটি রাষ্ট্রের ধীরগতির নিধনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বর্তমান পরিণতিতে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা দুটি নিবন্ধিত ও তিনটি অনিবন্ধিত ক্যাম্পে রয়েছে।
রিফুইজি এন্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট’এর গবেষক মির্জা তাসলিমা সুলতানা তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে উদ্যোগ নেওয়া। মিয়ানমারে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরে যেতে পারছে না। ১৯৭১ সালে ভারতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শরণার্থীদের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সাহায্য করা উচিত।
এদিকে রোহিঙ্গারা বলছে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় পেলেও তাদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না। মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কুতুপালং’এর অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মনজুর মিয়া জানান, আমরা আমাদের দেশে স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা পেলে ফিরে যেতে চাই। টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত ক্যাম্পের দুদু মিয়া জানান, বছরের পর বছর এখানে বাস করছি, কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না। আমাদের কাছে বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবসের কোনো মানে নেই।
বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি আরবে রোহিঙ্গা মুসলমানরা আশ্রয় নিয়েছে। গত অক্টোবরে মিয়ামার সেনাবাহিনী রাখাইনে অভিযান শুরু করলে হাজার হাজার রোহিঙ্গা দেশটি ছেড়ে পালায় যা আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গ জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ, বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ, হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ১৯৮২ সালে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয় দেশটির সরকার। ইয়েনিসাফাক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।