বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : নেছারাবাদ উপজেলার এসএসসি পাশের প্রশংসাপত্র নিতে প্রতি শিক্ষার্থীকে দিতে হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো ধার্যকৃত টাকা ছাড়া প্রশংসাপত্র দিচ্ছেনা না । ওই ভাবে টাকা নেয়ার বিষয় শিক্ষাবোর্ডের কোন প্রকার অনুমতি নেই বলে জানিয়েছেন বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের ডেপুটি কন্ট্্েরালার অরুন কুমার গাইন। এদের মধ্যে উপজেলা সদরের স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রশংসাপত্রে ১৫০ টাকা রেখে বিদ্যালয় থেকে একটি রসিদ দিয়ে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দেয়া উক্ত রসিদে ওই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফি, বেতনসহ নানা সার্ভিসের কথা উল্লেখ থাকলেও প্রশংসাপত্রের ফি এর কথা উল্লেখ নেই। প্রশংসা পত্রের টাকা নেওয়ার সময় রসিদের ভর্তি ফি‘র ছকে টাকার অংক বসিয়ে দেয়া হচ্ছে। এভাবে শুধু উপজেলা সদরের পাইলট স্কুলই নয়, আকলম মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইছামুদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্বরূপকাঠি কলেজিয়েট একাডেমিসহ প্রতিটি বিদ্যালয় টাকার বিনিময় প্রশংসা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্বরূপকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দত্ত বলেন, রিসিভ দিয়ে ১৫০ টাকা রেখে প্রশংসাপত্র দিচ্ছি। প্রশংসাপত্র নিতে হলে দেড়শ টাকা দিতে হবে। এখানে অনিয়ম করছি না।
স্বরূপকাঠি কলেজিয়েট একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল হক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা রেখে প্রশংসাপত্র দিচ্ছে। টাকা নেওয়ার জন্য বোর্ডের কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে, তিনি বলেন, বোর্ডের অনুমতি নেই। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ওই টাকা রেখে প্রশংসাপত্র দেয়া হচ্ছে।
আকলম মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করা ব্যাবসায়িক শাখার ছাত্র মোঃ ফিরোজ, কাজী রিঙ্কু ও মানবিক শাখার ছাত্র মোঃ রাহাত বলে তাদের কাছে বিদ্যালয়ে ২০০ টাকা করে দিয়ে প্রশংসাপত্র এনেছে। টাকা ছাড়া তারা কাউকেই প্রশংসাপত্র দিচ্ছে। বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক টাকা নেওয়ার কথাটি স্বীকার করে বলেন এ বিষয়ে তিনি পরে সামনাসামনি কথা বলবেন।
এভাবে ইছামুদ্দীন মাধ্যমকি বিদ্যালয়, হাজী ইব্রাহিম মাধ্যমকি বিদ্যালয়সহ উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ই নির্ধারিত টাকা ছাড়া কাউকেই প্রশংসাপত্র দিচ্ছেনা বলে সরেজমিনে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিয়য়ে জানতে চাইলে, বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের ডেপুটি কন্ট্্েরালার অরুন কুমার গাইন বলেন, প্রশংসাপত্রের জন্য কোন ফি প্রয়োজন নেই। তবে এজন্য কোন কোন বিদ্যালয় প্রশংসাপত্রের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০/২০ টাকা নিয়ে থাকে। তবে বোর্ড থেকে এর কোন ‘ফি’ এর কথা বলা নেই। পরবর্তীতে বিষয়টি তিনি বোর্ডের স্কুল পরিদর্শক আবুল বাশার তালুকদার-কে বলতে বলেন। বাকিটা তিনি দেখবেন বলে এ কর্মকর্তা আশ্বস্ত করেন।
বিদ্যালয় পরিদর্শক আবুল বাশার তালুকদার বলেন, এবিষয়ে কেহ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্তা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।