বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মহসিন রাজু , বগুড়া থেকে ঃ বগুড়ায় ফল ব্যবসার অঙ্গনে ‘‘আবু লাহাব’’ নামে খ্যাত এক ব্যবসায়ী চলতি রমজান মাসে কেবল খেজুর মজুদ করেই হাতিয়ে নিয়েছেন ৬ কোটি টাকা। বিশ্বস্ত সুত্রে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে তিনিই বগুড়ার একমাত্র আমদানীকারক হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে খেজুর আমদানী করেন। আমদানীকৃত খেজুরের একটি বড় অংশ রাজধানী ঢাকার কাঁচপুরে মজুদ করেন। এই কাঁচপুরেই সারাদেশের হাতেগোনা ৪/৫ জন আমদানীকারকের গোডাউন রয়েছে। সেখান থেকেই দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলসহ সিলেট এলাকায় পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ করা হয়। ওই ৪/৫ জন ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটই মুলত গত এক যুগ ধরে দেশের আমদানীকৃত খেজুরসহ সব ধরনের ফলের দাম নির্ধারণ করে করে আসছে।
ওই সিন্ডিকেটেরই অন্যতম একজন বগুড়ার এই আবু লাহাব খ্যাত ব্যবসায়ী চলতি রমজান মাসে খেজুরের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে হাতিয়ে নিয়েছেন ৬ কোটি টাকা। এই বিষয়ে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত একটি সুত্র হিসেবে করে দেখান উল্লেখিত আমদানীকারক ও মজুদদার ব্যবসায়ী বগুড়ার একটি আলুর হিমাগারের একাংশ ভাড়া নিয়ে ২২ হাজার কার্টন ‘দাবাস’ খেজুর এবং ২৩ হাজার বস্তা সস্তা ইরাকী খেজুর মজুদ করে দ্বিগুণ মুল্যে পাইকারী বিক্রি করে হাতিয়ে নেন উল্লেখিত পরিমাণে টাকা।
সং¯িøষ্ট সুত্র জানায়, এলসির মাধ্যমে আমদানী, ঢাকার কাঁচপুরে মজুদ ও সেখান থেকে চাহিদা মাফিক বগুড়ায় এনে ভাড়ায় কোল্ড স্টোরেজে সংক্ষিপ্ত সময়ে মজুদের পর বিক্রি পর্যন্ত ‘দাবাস’ নামের খেজুরের প্রতি কার্টনের পরতা মুল্য দাঁড়ায় ৯শ ৭০ টাকা। কিন্তু তিনি এই খেজুর রমজানের শুরুতেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন ১৬শ’ থেকে ২ হাজার টাকায়। অন্যদিকে বস্তা খেজুরের পরতা মুল্য কেজি প্রতি ৫৭ টাকা পড়লেও এই খেজুর তিনি বিক্রি করেণ ৮৫ থেকে ১শ’ টাকা দরে।
ফলে পাইকার পর্যায়েই এবার খেজুরের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় খুচরা বাজারে তা’ তিন গুণে গিয়ে ঠেকে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রোজাদার ক্রেতারা।
ফল ব্যবসায়ীদের একটি সুত্র জানায়, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের সবাই জানে, প্রশাসনের একাধিক গুরুত্বপুর্ণ দফতরে ওই ব্যবসায়ীর ডাক পড়েছে। তবে তারপর কি হয়েছে তা আর জানা যায়নি।
সুত্রটি আরো জানায়, বগুড়ার ফল ব্যবসায়ীরা, হজ্ব ও ওমরাহ উপলক্ষে মক্কায় অবস্থানকালে তৎকালীন মজুদদার কুখ্যাত আবু লাহাবের মজুদদারীর অনেক গল্প শুনেছে। শোনা ওই গল্পের সাথে বগুড়ার ব্যবসায়ীর মজুদের ধরনের সাথে মিল থাকায় তারাও তাকে ‘আবু লাহাব’’ বলে গোপনে গোপনে ডাকে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।