রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুসহ কয়েক হাজার মানুষ গত দুইমাস ধরে পানি বন্দি। পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার দক্ষিণাঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় ছয়টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এখন পানি ভেঙে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের লোকজনের পোষাক ভিজিয়ে বাড়িতে ঢুকতে ও বের হতে হচ্ছে। কুড়তলা গ্রামের শামসুদ্দিন মেম্বার পানি নিষ্কাশনের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় কৃষকের ফসলি জমির ধান, সাবজি ও পানের বরজ বিনষ্ট হয়ে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা যায়, পাকুন্দিয়া সদর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দক্ষিণে কুড়তলা গ্রাম। বরাটিয়া-বাহাদিয়া গ্রামীন পাকা সড়কে কুড়তলা গ্রামের সিরাজ উদ্দিন ফকিরের বাড়ির সামনে একটি কালভার্ট। কালভার্টটির দক্ষিন পার্শ্বে শামসুদ্দিন মেম্বারের পাঁচ বিঘা জমি। জমির পশ্চিম পাশ দিয়ে এ অঞ্চলের পানি চলাচলের জন্য একটি খাল ছিল। শামসুদ্দিন মেম্বারের জমিতে পুকুর খনন করে মাটি দিয়ে খালটি ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ফলে বরাটিয়া, মরুরা, চালিয়াগোপ, নামা লক্ষীয়া, হিজলীয়া ও কান্দাপাড়া গ্রামের প্রায় সাতশত পরিবারের কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে আছেন। কৃষকদের প্রায় দুইশতাধিক বিঘা ফসলি জমির ধান, সবজি ও মাছসহ কমপক্ষে ৩০টি পানের বরজ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
অবরুদ্ধ একটি পরিবারের সদস্য বাউল আবদুস সাহিদ বলেন, ছয়টি গ্রামে কয়েক হাজার মানুষ রয়েছে। তাদের অধিকাংশই দরিদ্র ও শান্তিপ্রিয়। যে ব্যক্তি পানি চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি। ব্রিটিশ আমল থেকেই এই খাল দিয়ে পানি চলাচল করে আসছে। হঠাৎ করে শামসুদ্দিন মেম্বার পুকুর খনন করে খালটি বন্ধ করে দেয়। যার দরুন গত দুই মাস ধরে আমরা পানি বন্দি। এতে আমার ২৯ আনা একটি পানের বরজ এবং এককানি ক্ষেতের পাকা ধান সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।
অবরুদ্ধ পাকুন্দিয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. নজরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ১/২জন ব্যক্তির কারণে প্রায় দুইমাস ধরে আমাদের এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি। কৃষকের প্রায় দুই শতাধিক বিঘা ফসলি জমির ধান, মাছ, সবজিসহ ত্রিশটি পানের বরজ নষ্ট হয়ে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েগেছে। দু:খের বিষয় স্থানীয় প্রশাসন এখনও কোন যথাযথ প্রদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বিশেষ করে আমাদের এমপি মহোদয় যদি আন্তরিক ভাবে বিষয়টির উপর হস্তক্ষেপ করেন তাহালে যে কোন মুহুর্তে এর সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু কেন জানি তিনি এখনও এগিয়ে আসছেন না।
পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, এলাকার কয়েক হাজার মানুষ দুই মাস ধরে পানি বন্দি। আমার বাড়িতে পানি। আমাকে কাপড় ভিজিয়ে ঘরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। কৃষকের লাখ লাখ টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। অথচ এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের কোন সহযোগিতা আমি পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন রকম নেতিবাচক ভূমিকা নেই। বিন্দুমাত্র গাফিলতিও করিনি। আন্তরিকতা আছে বলেই আমি পৌরসভার মেয়র ও ইউএনওকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাপ প্রয়োগ করেছি। তারা ভেকু নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খাল থেকে মাটি খনন করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে এসেছে। এখন পানি চলাচল করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।