Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গঙ্গাচড়ায় লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

| প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনামুল হক মাজেদী, গঙ্গাচড়া (রংপুর) থেকে : সরকারের আশ্বাসের পরেও গঙ্গাচড়ায় আশানুরুপ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি। ফলে পবিত্র রমজান মাসেও বিদ্যুতের নাজুক পরিস্থিতিতে মুসলিম, রোজাদারসহ সর্বস্তরের বিদ্যুৎ গ্রাহকগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার গ্রামাঞ্চলে।
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ রমজান মাসেও বিদ্যুতের এ পরিস্থিতিতে তারা চরম ক্ষুদ্ধ। মাগরিব, এশা, তারাবিও ফজর নামাজের সময় প্রায়ই বিদ্যুৎ থাকছে না। গতকাল বিদ্যুতের লুকোচুরির খেলা চলছিল। দিনের বেলায় ৪/৫ বার ও রাত ১২ টার পর বিদ্যুৎ চলে গেলে পরদিন সকাল প্রায় ৭ টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এতে মুসলিম, রোজাদারসহ সর্বস্তরের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যুতের আসা যাওয়ার শেষ নেই কোন নির্দিষ্ট সময় সীমা।
সর্বোপরি চাহিদামত বিদ্যুৎ যেন মানুষের কাছে দুর্লভ ও স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। তাদের মতে দিনেও রাতে বিদ্যুতের লুকোচুরি তো আছেই। তার পরেও সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়। ইফতার, তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে সর্বস্তরের মানুষ। প্রচন্ড গরমে রোজাদাারসহ সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ ছাড়া ঘুমাতে পারছেনা। এ যেন তাদের কাছে এক দুর্বিষহ যন্ত্রণা। ব্যবসায়ীরা জানান, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসায় চরম ক্ষতি হচ্ছে।
খলেয়া ইউনিয়নের লালচাঁদপুর গ্রামের মোঃ মাহফুজার রহমান জানান, গতকাল এ এলাকায় প্রায় ১১ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। শিশু, বৃদ্ধ, বৃদ্ধার চোখে ঘুমছিল না। যন্ত্রণায় তাদের রাত পোহাতে হয়েছে। গঙ্গাচড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম অখিল কুমার সাহা জানান, গঙ্গাচড়ায় বিদ্যুতের চাহিদার পিক আওয়ারে ৭ মেগাওয়াট। সরবরাহ পাচ্ছি ৩ থেকে সাড়ে ৩ মেগা ওয়াট। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ