ক্ষমতাসীন দলে গ্রæপিং, বিএনপিতে রেষারেষি, নিস্তেজ জামায়াত, তৃণমূলে জনপ্রিয় হচ্ছে জাতীয় পার্টি
হারুনুর রশিদ, রায়পুর (ল²ীপুর) থেকে : রায়পুর উপজেলার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাল ধরার মতো কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা থাকলেও হঠাৎ করে মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম পাপুল বিদেশে থেকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের কিছু নেতাকর্মীদের দিয়ে কুয়েক আওয়ামী লীগের আহŸায়ক দাবি করে নির্বাচনী প্রচারণা করে দলে বিভক্ত সৃষ্টি করায় সাংগঠনিক অবস্থাও তেমন ভালো যাচ্ছে না। কারণ দলের দুর্দিনে ওই নেতার নাম ছিলোনা রায়পুরে। এতে তৃণমূলে থেকে উঠে আসা আ.লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে কর্মীদের গ্রæপিং শুরু হয়েছে। উপজেলা ও পৌর বিএনপিতে একক নেতৃত্বে চললেও দলে চাপা ক্ষোভ রয়েছে নেতাকর্মীদের। দলে কর্মীদের প্রকাশ্যে কোনো কিছু বলার সুযোগ না থাকার করাণেই তৃণমূল বিএনপি ঝিমিয়ে রয়েছে। তবে বিএনপির সাথে নেতৃত্ব ও আন্দোলন নিয়ে কোন্দলে বিভক্ত জামায়াত বর্তমানে অনেকটা নিস্তেজ। এসব কোন্দলের সুযোগে নির্বাচনীয় এলাকায় একক বিভিন্ন উন্নয়মূল কাজ করে তৃণমূলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন জাতীয় পার্টি। তিনি গত চার মাসে তিনি অন্তর অর্ধশত বার নির্বাচনীয় এলাকায় এসে বিভিন্ন মাধ্যমিক, প্রাথমিক স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা ও কলেজসহ উপজেলার প্রায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানের বর্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ ও পরির্দশন করেন। এতে সবগুলো প্রতিষ্ঠানে কম বেশি আর্থিক সহযোগিতা করে উন্নয়নমূলক কাজে এগিয়ে রয়েছেন বিগত আমলের এমপিদের চেয়ে তিনি। এছাড়াও আলোচিত রায়পুর-হায়দরগঞ্জ সড়কসহ কয়েকটি সড়ক সংষ্কার, বিভিন্ন স্থানে ব্রীজ-কালভাট নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ শুরু করে হঠাৎ আ.লীগ নেতাকর্মী ও তৃণমূলে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে এমপি নোমান।
জানা যায়, ল²ীপুর-২ রায়পুর আসনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী ডা. এহসানুল কবির জগলু মনোনয়ন প্রতাহার করায় বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) মোহাম্মদ নোমান। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রথম বছর রায়পুরে কম আসায় তৃণমূলে অনেকটা অচেনা থেকে যান তিনি। পরের এক বছর তিনি রায়পুরবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, আলোচিত কয়েকটি সড়ক ও ফায়ার সার্ভিস নির্মাণসহ মাদক নিমূলে উন্নয়নেসহ মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে বক্তব্য দিয়ে এলাকার মানুষের মুখে মুখে এমপি নোমান পরিচিত লাভ করেন। এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরার পাশাপাশি কৌশলে নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন বর্তমান এমপি ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ নোমান, কেন্দ্রীয় আ.লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা আ.লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. এহসানুল কবির জগলুল।
ইতিমধ্যে আ.লীগের ওই দু’নেতা বেশ কয়েকটি সভা-সমাবেশ করেন বিভিন্ন করেন ১০টি ইউনিয়নের। তবে পাপুল বিদেশে থেকে হঠাৎ করে নিজে আ.লীগ দাবে করে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কৌশলে কিছু কর্মীদের অর্থিক সুবিধা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগাম প্রচার-প্রচারণায় করে বিভিন্ন উল্টো-পাল্টা জনশ্রæতি দিয়ে আসায় দুঃসময়ের পরীক্ষিত নেতাকের মাঝে চরম ক্ষোব দেখা দিয়েছে। যা আগামি নির্বাচনে আ.লীগের কাল হয়ে দাঁড়াবে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া নিজ নিজ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছেন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। তবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার ও পৌর বিএনপির সভাপতি এবিএম জিনালীর একক নের্তৃত্বে দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিএনপি নেতারা সেভাবে সরব হতে পারছেন না।