Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ঈদের ছুটিতে নিরাপত্তা শঙ্কায় ঢাবি

| প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এহসান আব্দুল্লাহ : আর এক সপ্তাহ ও বাকি নেই ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার। এরইমাঝে প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে বাড়ির উদ্দেশ্যে হলত্যাগ করেছেন ঢাবির অধিকাংশ আবাসিক শিক্ষার্থী। খুব অল্প সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী ক্যাম্পাসে ঈদ পালন করায় তারাও তেমন একটা হল ছেড়ে বের হননা কোন প্রয়োজন ছাড়া। পুরো ক্যাম্পাসে তাই এখন বিরাজ করছে সুনসান নিরবতা।
এদিকে ক্যাম্পাস ফাঁকা হওয়ার সাথে সাথে বাড়ছে বিশ^বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিঘেœর আশঙ্কাও। ছাত্র-ছাত্রীরা না থাকায় ক্যাম্পাসে বাড়ছে বহিরাগতদের আনাগোনা। গত কয়েক বছরে ঈদের ছুটিতে নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়া সহ ঘটেছে ছিনতাইয়ের ঘটনাও। বহিরাগতরা সুযোগ পেলেই এসব অপকর্ম ঘটাতে সচেষ্ট থাকে। সেই সাথে ক্যাম্পাসে ঘাপটি মেরে থাকা ছিনতাইকারী দল তো আছেই। বিগত ছুটির সময়গুলোতে এরকম ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি।
ক্যাম্পাস ফাঁকা পেয়ে বহিরাগত মাদকসেবীদের আনাগোনাও বেড়েছে বেশ লক্ষ্য করার মতো। এরা ফাঁকা ক্যাম্পাসে কাউকে একা পেলেই দেশীয় অস্ত্রের সাহায্যে হাতিয়ে নেয় সবকিছু।
বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোন বাধা না থাকায় এরা সহজেই ছাত্র পরিচয় দিয়ে প্রবেশ ও আড্ডা জমায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে।
এরা দ্রæতগতির বাইক অথবা কার নিয়ে এসে প্রথমে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে তারপর ছিনতাইয়ের কবলে পড়া ব্যক্তির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় সবকিছু। ছাত্র-ছাত্রীরা না থাকায় এবং বিশ^বিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের তেমন টহল না থাকায় সেক্ষেত্রে ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তির কিছুই করার থাকেনা।
অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীরাও ছিনতাইয়ের কবলে পড়লে সাহস করে কিছু বলে উঠতে পারেনা ক্যাম্পাস ফাঁকা থাকার কারনে। এই সুযোগে তাদের দৌরাত্ম বেড়ে যায় আরো বহুগুণে।
ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো ঘেটে দেখা যায় বেশিরভাগ ছিনতাই হয় বিশ^বিদ্যালয়ের ফুলার রোড, নীলক্ষেত মোড়, সোহরোওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গন, টিএসসির মোড়, দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার ও পলাশীর মোড় এইসব এলাকায়। এইসব ঘটনায় অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীই প্রক্টরিয়াল টিমের টহলের অপর্যাপ্ততার কথা জানান।
এইবার ব্যস্ততার কারনে ক্যাম্পাসে ঈদ পালন করতে হবে জানিয়ে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নোমান আব্দুল্লাহ বলেন, ঈদের সময়টাতে প্রায়ই দেরি করে বাড়ি যাওয়া হয় ফলে ফাঁকা ক্যাম্পাসে প্রচন্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়। সার্বক্ষণিক একটা ভয় কাজ করে কখন কে এসে কি করে। এইবার ক্যাম্পাসেই ঈদ করার কারণে এই ভয় আরো বেশি লাগছে। কারণ ঈদে পুরো ক্যাম্পাসে হাতেগোনা কয়েকশ ছাত্র থাকে, ফলে এই সুযোগটা ছিনতাইকারীরা ভালোভাবেই নিবে যদি প্রশাসন নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর না দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী বলেন, আমাদের নিজস্ব প্রক্টরিয়াল টহল টিম ২৪ ঘন্টাই টহলরত থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন আবাসিক এলাকার ও হলের সিকিউরিটি র্পাসনরাও যাতে সতর্ক থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা পুলিশকে জানাবো যাতে তারা এই বন্ধের সময়টাতে অতিরিক্ত কিছু জনবল দেয়। বিশেষ করে মোটরসাইকেল আরোহীদের উপর নজরদারী বাড়াতে বলা হবে।
বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে এবিষয়ে জানার জন্য ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য এইবার ঢাবিতে গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল ফিতরের একাডেমিক ছুটির মেয়াদ ১লা জুন থেকে ৯ই জুলাই পর্যন্ত। ১০ জুলাই সোমবার থেকে যথারীতি একাডেমিক ক্লাস আরম্ভ হবে। আর অফিসিয়াল ছুটি চলবে ২২ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত। ৩০ জুন শুক্রবার ও ১ জুলাই শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ হওয়ায় ২ জুলাই থেকে যথারীতি অফিস খোলা থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ