রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : উত্তরের সীমান্ত সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা। এই উপজেলায় প্রায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়ে থাকে। ওই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ফসলহানি ও জান-মালের ক্ষতি সাধিত হয়। প্রকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে একটি করে ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবসস্থাপনা কমিটি’ থাকার কথা। সে মোতাবেক সবকটি ইউনিয়নে একটি করে কমিটি থাকলেও তার কোন কার্যক্রম নেই। নামে মাত্র কমিটি। ওই কমিটির কে সভাপতি কারা এর সদস্য, তাও জানেন না ওই পরিষদের অধিকাংশ সদস্য। ২ মাস পর পর ওই কমিটির সভা হবার কথা থাকলেও হয় না সভা। কাগজে কলমে দেখানো হয় সভা। এই কমিটির নামে নেই কোন আর্থিক বরাদ্দও। স্থানীয় সরকারের সর্বনি¤œ স্তর ইউনিয়ন পরিষদ। সরকারের সাথে জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমথ ধাপ এ ইউনিয়ন পরিষদ। জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে হলে স্থানীয় সরকারের কাঠামোকে শক্তিশালী করার বিকল্প কিছু নেই। সরকারও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার কথা বারবার বললেও এর বাস্তবায়ন নেই বললেই চলে।
ইউনিয়ন পরিষদকে সুচারুভাবে পরিচালনা ও জনগণকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইউনিয়নে ১৩টি স্থানীয় কমিটি রয়েছে। কমিটির মধ্যে সমাজ কল্যাণ ও দুর্যোগ ব্যস্থাপনা কমিটি অন্যতম। ৫ থেকে ৭ সদস্য বিশিষ্ট এই স্থানীয় কমিটি প্রতি ২ মাস পর পর সভা করার বিধান থাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোন সভা করতে পারেনি। প্রতি মাসে পরিষদের যে সভা অনুষ্ঠিত হয় সেখানে শধুমাত্র স্বাক্ষর নিয়ে স্থানীয় কমিটির সভা চালিয়ে দেয়া হয়। আমরা বৃক্ষনিধন, অপরিকল্পতি কলকারখানা করে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডেকে আনছি। দেশের এ বিভিন্ন দুর্যোগের কথা বিবেচনা করে সরকারের স্থানীয় সরকারের নিম্ম স্তর থেকে সরকারের উপরের স্তর পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো রয়েছে এবং কর্মপরিকল্পনাও রয়েছে। তবে এর বাস্তবায়ন খুব একটা নেই। কাজিপুরেও প্রতি বছর কমবেশি দুর্যোগ লেগেই থাকে। এখানে যে দুর্যোগগুলো সচারাচর দেখা যায় তার মধ্যে বন্যা, ক্ষরা, ঝড়, অগ্নিকান্ড, বজ্রপাত, শৈত্যপ্রবাহ প্রধান। তবে বড় ধরনের কোন দুর্যোগ দেখা দিলে এর মোকাবিলা করার মত তেমন কোন কর্মপরিকল্পনা বা ব্যবস্থাপনা স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদে নেই। অথচ ইউনিয়ন পরিষদ যে কার্যবলী সম্পন্ন করবে তার দিক নিদর্শনা ও বিধান থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদে তা অবহেলিত। ভৌগোলিক অবস্থাগত দিক থেকে কাজিপুর সদর, মাইজবাড়ী, শুভগাছা, গান্ধাইল, খাসরাজবাড়ী, নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ ও মনসুরনগর ইউনিয়ন বেশি দুর্যোগপ্রবণ। কাজিপুরের মধ্যে দিয়ে ২টি নদী বয়ে গেছে। একটি ইছামতি নদী অন্যটি যমুনা নদী। এ দুইটি নদীর কারণে ১০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম বেশি বিপদাপন্ন। প্রতিবছর বন্যায় এ এলাকায় বিপুল শস্য ও যানমালের ক্ষতি সাধিত হয়ে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।