পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720433642](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাঙামাটি-বান্দরবনে ভূমি ধসের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ দুর্গত পরিবারের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলাসহ জরুরী ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে সেনাবাহিনী। আইএসপিআরের পক্ষ্য থেকে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী এ পযন্ত রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ জনকে খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছে। এছাড়া তারা প্রায় ৭ হাজার লিটার পানি বিতরণ করে। রাঙ্গামাটি রিজিয়ন এর পক্ষ থেকে ০১টি পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। আগামীকাল থেকে উক্ত প্ল্যান্টের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর তত্ত¡াধানে সকল শেল্টার সেন্টারে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা হবে। সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল টিম প্রায় ১ হাজার জনকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে। দূর্গত এলাকায় জ্বালানী সংকট দেখা দেয়ায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্র্য়া ৮ হাজার লিটার তেল বিতরণ করা হয়েছে। আইএসপিআরের পক্ষ থেকে আরো বলা হয় যে, রাঙ্গামাটি মোট ১৯ টি শেল্টার সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে প্রায় ৫০০ টি পরিবারের ২১২৪ জন পাহাড়ী-বাঙ্গালী আশ্রয় নিয়েছে। সেনাবাহিনী ৭টি শেল্টার সেন্টারের সার্বিক দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। সেগুলো হলোঃ বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন; উন্মুক্ত বিশ¡বিদ্যালয়; যুব উন্নয়ন কমপ্লেক্স; মনোঘর ভাবনা কেন্দ্র; বাংলাদেশ সরকারী কলেজ; গোধুলী আমানবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।এই ৭টি শেল্টার সেন্টারে ১২২৬জন দুর্গত পাহাড়ী-বাঙ্গালী আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদেরকে খাবার ও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও ডিসি অফিসের পক্ষ থেকে প্রতি সদস্যের জন্য দৈনিক ৪০০গ্রাম চাল ও ৪০ টাকা প্রদান করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর ৩টি মেডিক্যাল টীম নিয়মিতভাবে এ সকল শেল্টার সেন্টার পরিদর্শন করছেন এবং অসুস্থদের মাঝে চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন। ঘাগড়া ও মানিকছড়ি মধ্যবর্তী স্থানে রাস্তাটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সাতছড়ি নামক স্থানে ১০০ মিটার রাস্তা সম্পূর্ণ দেবে যাওয়ায় সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন পাহাড় কেটে বিকল্প রাস্ততরি করছে। আগামী ২দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কে মাঝারি ধরনের যান চলাচলের জন্য উপযোগী হবে। এছাড়া বান্দরননের চিম্বুক-রুমা সড়কের এখন পর্যন্ত ৫ কি.মি. রাস্তা যোগাযোগের উপযোগী করা হয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হওযায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। উল্লেখ্য গত ১৩ জুন রাঙামাটি বান্দরবনে ব্যাপক ভূমিধসের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ সড়ক যোগাযোগ পুনস্থাপন করার সময় তাদের উপর পাহাড় ধসে পড়ায় ২ কর্মকর্তাসহ ৫ জন সেনাসদস্য নিহত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।