পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এমআইসি : বৃহস্পতিবার এক নীতি বøগ পোস্টে ফেসবুক ঘোষণা করেছে যে সামাজিক নেটওয়ার্কে ইসলামী সন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এ আই) ও অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করছে। ইসলামী সন্ত্রাসবাদÑ এই প্রভেদসূচক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মূলকথা। ফেসবুক বলেছে, ‘ আমরা বর্তমানে আইএসআইএস, আল কায়েদা ও তাদের সহযোগীদের সম্পর্কে সন্ত্রাসবাদী বিষয় মোকাবেলায় আমাদের সর্বাধুনিক কৌশলের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছি।
সুতরাং কোনো শে^তাঙ্গ আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসী গ্রæপ বা অ-ইসলামী গ্রæপ নয়Ñ যদিও আমরা যথানিয়মে অন্যান্য সন্ত্রাসী সংস্থাগুলোর কাছে সম্প্রসারণের প্রত্যাশা করছি। যে সব বিষয় সন্ত্রাসকে সমর্থন করতে পারে , ঐ মঞ্চ থেকে যোদ্ধা সংগ্রহ করতে পারে বা সন্ত্রাসী প্রচারণা ছড়াতে পারে সে সব বিষয় কিভাবে পরিচালনা করা হবে সে সম্পর্কে স্বচ্ছতা অবলম্বনের প্রস্তাব দিয়ে আইএসআইএস বা আল কায়েদার বিরুদ্ধে ফেসবুক তার অবস্থান পুনর্বিন্যস্ত করেছে। ফেসবুকের বৈশি^ক নীতি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিকা বাইকার্ট ও ফেসবুকের সন্ত্রাস বিরোধী নীতি ব্যবস্থাপক ব্রায়ান ফিশম্যান এক যৌথ বøগ পোস্টে লেখেন, আমরা যখনি অবগত হই তখনি সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদের সমর্থক পোস্টগুলোকে অপসারণ করি। তারা বলেন, আমরা যখনি সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদী পোস্ট সম্পর্কে খবর জানতে পারি আমরা জরুরি ভাবে সে রিপোর্টগুলো মূল্যায়ন ও যাচাই করি। বিরল ঘটনা ঘটে তখন যখনি আমরা আসন্ন ক্ষতির সাক্ষ্যপ্রমাণ উন্মোচন করি , আমরা দ্রæততার সাথে কর্তৃপক্ষকে তা অবহিত করি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় অধিকতর সক্রিয় ভূমিকা পালনে ইন্টারনেট ও টেক কোম্পানিগুলোকে চ্যালেঞ্জ করার তার লক্ষ্য ঘোষণা করেছেন। ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টারে কনসার্টে বোমা হামলায় ২২ জন নিহত হওয়ার পর মে বলেন, আমরা এ মতবাদ বরদাস্ত করতে, তাদের লালনের জন্য নিরাপদ স্থান দিতে পারি না।
ফেসবুক কীভাবে এআই ব্যবহার করছে?
ফেসবুকের মতে, কোম্পানি নিজেই অপসারিত সন্ত্রাসী বিষয়গুলোর অধিকাংশ খুঁজে পেয়েছে। তবে কোম্পানি বলছে, তারা এ মঞ্চে এ ধরনের অনুপযুক্ত বিষয় ছড়ানো রোধ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করবে।
একটি পথ হচ্ছে ইমেজ ম্যাচিং, যা কোনো স্থান থেকে আগে তোলা পরিচিত সন্ত্রাসীর ছবি বা ভিডিওর সাথে মিল থাকা ছবি বা ভিডিওকে অপসারণ করে। কোম্পানি ভাষা বোঝা বিষয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে যা সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি করতে পারে এমন ভাষ্য বোঝার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে। এটা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠিকে চিহ্নিত করছে এবং ভুয়া একাউন্টগুলোর সনাক্ত করার ব্যবস্থার উন্নয়ন করছে।
ফেসবুক আরো বলছে কিভাবে মানুষ মধ্যস্থতাকারীরা একটি ভূমিকা পালন করে। কোম্পানি বলেছে, চিহ্নিত বিষয়গুলো মূল্যায়ন করতে আগামী বছরে তাদের কম্যুনিটি অপারেশন টিমের সদস্য সংখ্যা ৩ হাজারে বৃদ্ধি করবে। তারা ১৫০ জনেরও বেশী সন্ত্রাস দমন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেছে যারা সম্মিলিতভাবে প্রায় ৩০টি ভাষায় কথা বলতে পারে। কোম্পানি অন্যান্য টেক কোম্পানি, সরকার, এনজিও ও কম্যুনিটি গ্রæপগুলোর সাথে কাজ করছে।
বাইকার্ট বিবিসিকে বলেন, আমরা অনলাইনে যেমন সন্ত্রাসী হুমকিকে অব্যাহত পরিবর্তিত হতে দেখতে পাই আমাদের প্রযুক্তিও ঠিক সেভাবেই পরিবর্তিত হতে যাচ্ছে। আমাদের সমাধানগুলো গতিশীল হতে হবে।
ফেসবুক কি অন্য ধরনের সন্ত্রাসও চিহ্নিত করবে?
এটা দেখা একটি কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হবে যে ফেসবুক নাজিবাদের সীমাহীন বিস্তৃতি এবং টুইটার, ফেসবুক ও ওয়েব জড়ে শে^তাঙ্গ আধিপত্যবাদী বক্তৃতা বিবেচনায় কিভাবে দেশীয় সন্ত্রাসবাদের পাশাপাশি অন্যদের ক্ষেত্রে সাড়া দেয় ও মানিয়ে নেয়।
জাক চেনি রাইস মার্চে এক এমআইসি স্টোরিতে উল্খে করেন , ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা মুসলিমদের, বিশেষ করে অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের এমন আগ্রাসীভাবে চিহ্নিত করেছেন যে আমেরিকানদের প্রতি তারা বৃহত্তম জাতীয় হুমকি। কিন্তু আরো পুরনো ও অধিক ব্যয়বহুল হুমকি ঘরের কাছে লুকিয়ে আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।