পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড় ধস নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নোংরা রাজনীতি শুরু করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়াামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ। গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে হানিফ বলেন, রমজানে ইফতারের আগে মানুষ আল্লাহর কাছে কল্যাণ ও শান্তির জন্য দোয়াা কামনা করেন। আর খালেদা জিয়াা ইফতার সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন। মিথ্যাচার করছেন। কুৎসিত কথাবার্তা বলে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের যে কোনো ক্রান্তিকালে জনগণের পাশে ছিলেন মন্তব্য করে হানিফ বলেন, যতদিন শেখ হাসিনা থাকবে, ততদিন দেশের মানুষ নিরাপদ থাকবে। দেশ নিরাপদ থাকবে। দেশ এগিয়ে যাবে। খালেদা জিয়াকে এই আচরণ বন্ধের আহŸান জানানোর পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে দেশবাসীকে স্বোচ্চার হতে বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ। টানা বৃষ্টিতে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ জেলায় বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস ও ঢলে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সময় সুইডেনে তিন দিনের সরকারি সফরে থাকায় গত বৃহস্পতিবার এক ইফতার অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া একে আনন্দ ভ্রমণ আখ্যায়িত করেন। হানিফ বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দাবিদার খালেদা জিয়াা কীভাবে একটি সরকারি সফরকে প্লেজার ট্রিপ বলেন? এ ধরনের মন্তব্য মূর্খতার শামিল বলে জনগণ মনে করেন। তিনি বলেন, পাহাড় ধসের পরপরই সরকার ও আওয়াামী লীগের পক্ষ থেকে উদ্ধার ও পুনর্বাসনের সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা দুর্গত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। সরকার ও আওয়ামী লীগের পদক্ষেপে সেখানকার জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে। হানিফ বলেন, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের চারদিন পর দুর্গত এলাকায় গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে খালেদা জিয়া সে সময় সংসদে বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা ছিল- তত মানুষ নাকি মারা যায়নি।
ওই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় দুই লাখ মানুষ প্রাণ হারানোর পরও খালেদা জিয়া ওই বক্তব্য দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন যে দেশের জনগনের প্রতি তার কোনো দায়িত্ব নেই। জনগণের প্রতি তার কোনো মায়া-মমতা নেই। সেই খালেদা জিয়া আজ আমাদের ওপর দোষারোপ করতে আসেন। হানিফ বলেন, বাংলাদেশর স্বাধীনতার পর ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে প্রথম দিকেই সুইডেন স্বীকৃতি দিয়েছিল। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেখানে গিয়ে ছিলেন। প্লেজার ট্রিপ কী- তা খালেদা জিয়াা জানেন না? আসলে তার জানার কথাও নয়। তিনি তো পাকিন্তানি সেনাবহিনীর সঙ্গে ছিলেন। উনি সেই সময় (একাত্তরে) ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানের সেনাদের সাথে প্লেজার ট্রিপে ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে তার জানার কথাও নয়। খালেদা জিয়ার দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই বলেই তিনি ওই ধরনের কথা বলছেন বলে মন্তব্য হানিফের। ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সমস্ত দেশপ্রেম, আবেগ, অনুভূতি, প্রেম, মহব্বত পাকিস্তানে রয়ে গেছে। যার কারণে তিনি এ ধরনের কথা বলতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।