Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তমদ্দুন মজলিসের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

| প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : তমদ্দুন মজলিসের নিজস্ব আদর্শ রয়েছে। এ আদর্শকে ধারণ করেই তমদ্দুন মজলিসের নেতা কর্মীরা তাঁদের জীবন গঠন করে থাকেন। তমদ্দুন মজলিসের নেতা কর্মীরা কখনোই তাদের নিজস্ব আদর্শ থেকে বিচ্যুত হন না। তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সকল নেতাই তাঁদের উত্তম আদর্শ দ্বারা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে বিভিন্ন আন্দোলনে সম্পৃক্ত করেছেন।
গত শনিবার বিকালে তমদ্দুন মজলিসের মালিবাগ হোসাফ শপিং কমপ্লেক্সের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বক্তারা এ কথা বলেন। ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের নেতা, কর্মী ও শুভানুধ্যায়ী মরহুম নেতাদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও বর্তমান নেতৃত্বদানকারী নেতৃবৃন্দেও দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে এ দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বিশিষ্ট লেখক ও সাবেক কুটনৈতিক ড. মুহাম্মদ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রবীণ সাংবাদিক ও ভাষা সৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুর, আলোচনা, আবৃত্তি ও হামদ না’তে অংশগ্রহণ করেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দীন খান, কাবি ম. মিজানুর রহমান, এরতাজ আলম, কবি এনাম রাজু, ইঞ্জিনিয়ার শওকত আজিজ, মোহাম্মদ আদেলউদ্দিন আল মাহমুদ, মোহাম্মদ আবু সাইদ, মোহাম্মদ তওহিদ খান ও হাফেজ বায়েজিদ হাসান প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, তমদ্দুন মজলিসের নেতা অধ্যাপক শাহেদ আলী ব্যক্তি হিসাবে ছিলেন অসাধারন অমায়িক। যারাই তাঁর ঘনিষ্ট সম্পর্কে যেতেন, তারা তার ব্যবহারে মুগ্ধ না হয়ে পারেননি। তার অমায়িক ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি অসংখ্য সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী তৈরী করে গেছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের সাথেও তাঁর ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। অধ্যাপক শাহেদ আলীর সহধর্মিনী প্রফেসর চেমন আরা ও তমদ্দুন মজলিসের নিবেদিত প্রাণ হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন।বক্তরা বলেন, তমদ্দুন মজলিসের আরেক কর্মী দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ছিলেন ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী উদার মানবতার মূর্ত প্রতীক। তার দৃষ্টিতে ইসলাম ও মানবতাবাদ ছিল সমার্থক। তিনি বিশ্বাস করতেন ধর্মীয় মূল্যবোধ ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। সকল ধর্মের মধ্যেই রয়েছে মানবতাবাদের শিক্ষা এটাই ছিল তার বিশ্বাস। তাঁর প্রচারিত আদর্শ ও ব্যক্তি জীবনে আচরিত আদর্শে কোন পার্থক্য ছিল না। জমিদার বংশে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করেও মৃত্যুকালে তিনি প্রায় কপর্দকহীণ আবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নিজে জমিদার হয়েও জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের আন্দোলনে তিনি অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম, কথাশিল্পী শাহেদ আলী, দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, এমদাদ আলী খান, ড. কাজী দীন মোহাম্মদ, আবু সাইদ মোহাম্মদ ওমর আলী, কবি মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ, শাহাবুদ্দীন আহমেদ, ছানাউল্লাহ নুরী, আশকার ইবনে শাইখ, হাসান ইকবাল, এড. আবদুল মোবিন, এড. এ এস এম মোফখখারুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহাম্মদ ফরিদউদ্দিন খান, এড. ফজলুর রহমান ভূঁইয়া, জুবাইদা গুলশান আরা, আকতারুল আলম, মাওলানা মহিউদ্দিন খান, এড. রফিকুল্লাহ চৌধুরী, রাহেলা খাতুন, ও এড ফরমান উল্লাহ খান প্রমুখ মরহুম নেতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজান কনে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ