প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বিনোদন রিপোর্ট: স্টুডিওর চার দেয়াল থেকে টিভি অনুষ্ঠানকে বের করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে ইত্যাদি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি প্রায় দুই যুগ ধরে বিদেশী নাগরিকদের দিয়ে আমাদের লোকজ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নিয়মিতভাবে তুলে ধরছে। শুরুর দিকে বিষয়টি ১০/১২ জন বিদেশীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে শতকের ঘরে পৌঁছেছে। আর এদের মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। আমাদের এখানে অনেকেই যখন মিডিয়াতে ‘বাংলিশ’ উচ্চারণে পরাশ্রয়ী সংস্কৃতির জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে, বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের ভাষার বিকৃতি এবং লোক সংস্কৃতি ও গ্রামীণ খেলাধুলার বিকৃতি চলছে, সে সময় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিদেশী নাগরিকদের দিয়ে করেন দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা। এজন্যে তিনি তাদের নিয়ে যান প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বিদেশীদের দিয়ে তাদের ভাষায় অর্থাৎ ‘ইংরেজী’ এর বদলে বাংলা ভাষায় গ্রামের সহজ সরল মানুষের চরিত্রে অভিনয় করিয়ে তুলে ধরেন আমাদের চিরায়ত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। ইত্যাদির চরিত্রানুযায়ী বিদেশীদের দিয়ে করানো নানা ঘটনার পরিসমাপ্তি ঘটে চমৎকার একটি মেসেজের মাধ্যমে। বিদেশী হয়েও তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব বিভিন্ন গ্রামীণ খেলা, অভিনয়ে অংশগ্রহণ করা দেখে দর্শক যেমন বিস্মিত ও আনন্দিত হন, তেমনি অনুপ্রাণীতও হন। বিদেশীরা মনে করেন এটি তাদের জীবনে একটি নতুন অভিজ্ঞতা এবং আনন্দ। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তাদের আনন্দের স্মৃতি। প্রতিবছর দর্শকরা যেমন এই পর্বটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন, তেমনি ঢাকায় বসবাসরত বিদেশীরাও অপেক্ষা করতে থাকেন কখন তাদের ডাক পড়বে ইত্যাদি থেকে। তাই ঢাকায় বসবাসরত বিদেশীদের কাছে হানিফ সংকেত ও ইত্যাদি দু’টি জনপ্রিয় নাম। বাংলা ভাষা না বুঝলেও এই পর্বটি তাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। বছরের এই সময়টাতে বিদেশীদের ছুটি থাকে বলে তাদের পাওয়া খুবই কঠিন। তারপরও অনেকেই ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করার জন্য ছুটি ভোগ করেন না। তাদের প্রিয় এই অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করার জন্য নিজেরাই তৈরী করেন ইত্যাদি বিদেশী টিম-২০১৭। উল্লেখ্য, প্রতি বছরই এ ধরণের টিম গঠিত হয়। প্রতিবছরের মত যথারীতি এবারও বিদেশীদের নিয়ে ইত্যাদিতে রয়েছে ব্যাপক আয়োজন। এবারের পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ৬০ জন বিদেশী নাগরিক। এদের মধ্যে নৃত্যে অংশগ্রহণ করেছেন ২৫ জন এবং বাকীরা অভিনয়ে। এবারের বিষয় ‘যৌতুক’। হানিফ সংকেতের নির্দেশনায় অল্প ক’দিনের মহড়ায় বাংলায় বিভিন্ন সংলাপ আয়ত্ব করে এই বিদেশীরা এবারও চমৎকার অভিনয় করেছেন। এবারের বিদেশী পর্বে একটি চমৎকার শ্লোগান উঠে এসেছে, তা হচ্ছে- ‘যৌতুক নেয়া মহাপাপ-যৌতুক সমাজের অভিশাপ’। হানিফ সংকেত বলেন, মাত্র কয়েকদিনের পরিচয়ে কয়েকদিনের মেলামেশায় বিদেশীদের সাথে যে আত্মীক বন্ধন হয় তা কখনোই ভোলার নয়। নেদারল্যান্ডস্রে নাগরিক জেনিফার বলেন-ইত্যাদির শূটিংয়ে এসে মনে হয় পিকনিকে এসেছি। ভালো লাগে হানিফ সংকেত-এর সমাজ সচেতনতামূলক কাজ। ডাচ্ নাগরিক নেইলস বলেন, আমি গত বছর করেছি, এ বছরও অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছি। ব্রিটিশ নাগরিক ক্রেইগ বলেন-ইত্যাদি টিম খুবই ভালো, অর্গানাইজড আমি ইত্যাদিকে ভালোবাসি। আমেরিকান নাগরিক রাসেল ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় বলেন, আমরা ইত্যাদি পরিবারের সদস্য। শূটিংয়ের পুরো দিনটাই আনন্দে কেটেছে। এ্যাডাম বলেন, অনেক গরম তারপরও হানিফ সংকেতের ইত্যাদির কাজ করতে কোন ক্লান্তি আসে না। হানিফ সংকেতকে ধন্যবাদ। ডাচ্ নাগরিক পাওলা বলেন, ইত্যাদি আমার কাছে সবচাইতে আনন্দঘন মুহুর্ত ও অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। বিদেশীদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে হানিফ সংকেত বলেন-এরা অপেশাদার তবে অনেক পেশাদার শিল্পীও এদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। বিশেষ করে ওদের সময়জ্ঞান, নিষ্ঠা, একাগ্রতা, কষ্ট সহিষ্ণুতা, আন্তরিকতা দেখে আমি মুগ্ধ। যেহেতু দর্শকরা এই পর্বটি অনেক পছন্দ করেন, তাই আমরাও অনেক যতœ নিয়ে এই পর্বটি করতে চেষ্টা করি। আশা করি, প্রতিবারের মত এবারও এই পর্বটি দর্শকদের অনেক আনন্দ দেবে।ইত্যাদি প্রচার হবে ঈদের পরদিন রাত ১০টার ইংরেজী সংবাদের পর বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন, স্পন্সর করেছে কেয়া কস্মেটিকস্ লিমিটেড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।